কলকাতা: মমতা-শুভেন্দু সৌজন্য সাক্ষাতের পর এবার অভিষেককে (Abhishek Banerjee) চায়ের আমন্ত্রণ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ করলেন তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে জনসভা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari) বলেন, "অভিষেককে আমার বাড়িতে চা খেতে আসতে বলব। অভিষেক চা খেতে এলে খুশিই হব।''
ঠিক কী বললেন দিব্যেন্দু অধিকারী?
তৃণমূল সাংসদ বলেন, "আমি দেখেছি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অধীর চৌধুরী দেখা করেছেন। আমাদের দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও কখনও দেখা করেছেন। এখানে অসৌজন্যতার কিছু নেই। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর অঙ্গ। বিরোধী দলেনেতা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন এটা সৌজন্যতা। হাউসের মধ্যে সুস্থ আলোচনা। এভাবেই তো চলা উচিত। হই হট্টগোল করলে তো সময় নষ্ট হয়।'' এরপর সাংসদকে প্রশ্ন করা হয়, আর কয়েকদিন পরেই তো অভিষেকের সভা বাড়ির দোরগড়ায়, কিছু বলবেন? উত্তরে দিব্যেন্দু বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েক বাড়িতে চা খেতে আসতে বলব। এলে খুশি হব।''
মমতা-শুভেন্দু সাক্ষাৎ: রাজ্য-রাজনীতিতে একেবারে নাটকীয়। সাম্প্রতিক ইতিহাসে সৌজন্যের অনন্য নজির। দীর্ঘদিন পরে গতকাল মুখোমুখি কথা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গেলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারীকে ভাই বলে সম্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বাবার খোঁজ নিলেন। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণও জানালেন। শুক্রবার বিধানসভার প্রথমার্ধের অধিবেশন শেষ হওয়ার পরে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী।
দিব্যেন্দু অধিকারীর এদিনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "সৌজন্য সবসময় ভাল। ব্যক্তিগত কখনই ভাল নয়। ফলে যাঁরা ব্যক্তিগত আক্রমণ করে এসেছেন, তাঁরা সৌজন্য বজায় রাখলে ভাল। আমন্ত্রণ জানানো সম্পূর্ণ নিজেদের ব্যাপার।'' কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে সিপিএম। সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি বলেন, "রাজনৈতিক পরিসরে সৌজন্য থাকবে, এটাই তো কাম্য। কিন্তু বিজেপি এবং তৃণমূল তা বজায় রাখেনি এরাজ্যে। দুটো দলই দুর্নীতি গ্রস্ত, স্বৈরাচারি, ফলে তাদের মধ্যে তো যাতায়াত থাকবে।''
আরও পড়ুন: Mithun Chakraborty: 'বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিনিয়োগের জোয়ার,' আশ্বাস মিঠুনের