কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: রাজ্যজুড়ে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিছুদিন বাদেই লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) দিন ঘোষণা হয়ে যাবে। তৃণমূলও (TMC) নিজের মতো করে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে এই প্রচারের নাম দিয়েছে- জন গর্জন সভা। ১৪ মার্চ থেকেই 'জন গর্জন সভা' শুরু করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, এমনটাই খবর। 


তৃণমূল সূত্রে খবর, ১৪ মার্চ জলপাইগুড়িতে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ১৬ মার্চ পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে 'জন গর্জন সভা' রয়েছে তৃণমূলের। এরপর ১৮ মার্চ  দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে সভা করবেন অভিষেক। ২০ মার্চ বসিরহাটে সভা করবেন তৃণমূল নেতা।  ২২ মার্চ পূর্ব বর্ধমানে সভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। 


প্রতি সভায় ১ লক্ষ মানুষের সমাবেশের লক্ষ্যমাত্রা রাখছে তৃণমূল। সভায় বিশেষ ভাবে তুলে ধরা হবে ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা।  


এদিকে লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন তিনি। এদিন মোদি বলেন, '১০০ দিনের কাজে ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করা হয়েছে। যে অর্থ গরিব মানুষের কাছে যাওয়ার দরকার ছিল, সেই টাকা তৃণমূলের তোলাবাজরা লুঠ করেছে। তৃণমূল সরকার সব স্কিমকে স্ক্যামে পরিণত করে'। তৃণমূল গরিবের রেশন লুঠ করতেও পিছপা হচ্ছে না। বিজেপি সরকার দেশের উন্নয়নে অভূতপূর্ব পদক্ষেপ করতে চলেছে। কিন্তু বাংলার বিকাশ হলেই দেশের বিকাশ হবে। কিন্তু তার জন্য ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটাতে হবে। এখন তৃণমূলের অর্থ হল 'তু, ম্যায় অউর করাপশন'। 


আরও পড়ুন, '১০০ দিনের কাজ-২৫ লাখ ভুয়ো কার্ড তৈরি করে টাকা লুটেছে তৃণমূলের তোলাবাজরা', আক্রমণ মোদির


এর আগে অবশ্য বকেয়া টাকা নিয়ে মোদি সরকারকে বিঁধেছিল অভিষেক। তিনি বলেছিলেন, 'কেন্দ্র সরকার পুরো টাকা বাংলার বকেয়া পাওনা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা। ১ কোটি, ২ কোটি, ৫ কোটি, ১০ কোটি নয়। এটা আমাদের টাকা, বাংলার টাকা, বাংলার মানুষের টাকা। জোর জবরদস্তি মোদি সরকার, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আটকে রেখে দিয়েছে গায়ের জোরে। তার কারণ এরা হেরেছে। যতদিন আমাদের সরকার থাকবে বাংলার কোও প্রান্তে হোক বাংলার কোনও মানুষকে দিল্লির সরকার ভাতে মারতে পারবে না।'