জলপাইগুড়ি: যদি স্রেফ সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee In Jalpaiguri) ঝড়-বিধ্বস্তদের মধ্যে গিয়েও থাকেন, সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে এক পথে হাঁটতে বাধা দিল কে? বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে কড়া আক্রমণ ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee Scathing Attack)। তাঁর কথায়, 'ওঁর ভুটান যাওয়ার সময় রয়েছে, বিভিন্ন টেলিভিশন-বিতর্কে যোগদানের সময় রয়েছে। সেমিনারেও যেতে সময় পান উনি। এখানে এসে সরেজমিন মানুষের অবস্থাটা দেখতে পারতেন তো!'

  


কী বললেন অভিষেক?
এদিন সার্বিক ভাবেই জলপাইগুড়ি-কোচবিহার-আলিপুরদুয়ারের উন্নয়নে বিজেপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। তাঁর প্রশ্ন ছিল, বিজেপির কোনও সাংসদ আজ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের তিন জেলার জন্য উন্নয়নমূলক কোনও কর্মসূচির ব্যবস্থা করেছেন কি? বিজেপির কোনও নেতা সাধারণ মানুষকে কোনও পরিষেবা প্রদান করেছেন, এমনও দৃষ্টান্ত নেই, দাবি তাঁর। অভিষেকের কথায়, 'অনুরোধ করব, জাতি-দলমত নির্বিশেষে আগামী ৪৮ ঘণ্টা যেন মানুষের পাশে দাঁড়াই।' জলপাইগুড়িতে গত কাল, মাত্র ৪ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে বিশাল এলাকা, মারা গিয়েছেন ৫ জন। ক্ষতিগ্রস্ত কোচবিহার-আলিপুরদুয়ারও। সে প্রসঙ্গেই ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের বার্তা, সীমিত ক্ষমতার মধ্যেই যেন প্রত্যেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মাথায় ছাদ ও খাওয়ার ব্যবস্থার চেষ্টা করতে হবে। 
ঝড়ের ছবি সামনে আসতে গত কাল, রবিবার রাতেই জলপাইগুড়ি পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে অভিষেকের বক্তব্য, 'প্রচারের নাম করে আক্রমণের চেষ্টা বিজেপির অন্তত শোভা  পায় না। তাদের পুরো রাজনীতিটাই গত ১০ বছর ধরে জনসংযোগ এবং ফটো-অপের উপর নির্ভর করে চলছে। সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছেন। তাঁরা উপযুক্ত জবাব দেবেন।'


ঝড়ের অভিঘাত...
গত কাল, রবিবার, দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ তুমুল ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের সেনপাড়া।, মৃত্যু হয় ৫ জনের। ময়নাগুড়িতে সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে শতাধিক বাড়ি। জখম বহু। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটাতেও প্রবল ঝড় হয়। রাতেই জলপাইগুড়ি পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। আজ জলপাইগুড়ি-পরিদর্শনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । পাশাপাশি রাজভবনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পিস রুম, খোলা হয়েছে জরুরি সেল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাজভবন। সাহায্যের জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সাহায্য পাঠাতে বলেছে রাজভবন। 


আরও পড়ুন:'আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছেন দিলীপ ঘোষ', জানাল কমিশন, সতর্ক হওয়ার নির্দেশ