ঋত্বিক প্রধান, দিঘা: তরুণীকে দিঘায় নিয়ে গিয়ে, খুন করে, রামনগর স্টেশনের কাছে মৃতদেহ ফেলার অভিযোগ যুগলের বিরুদ্ধে। ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে দিঘার হোটেল থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করল পুলিশ (police) । জানা গেছে মৃতার পরিচয়ও। খুনের নেপথ্য়ে সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ বলে অনুমান তদন্তকারীদের। (East Midnapore Crime)
দিঘার হোটেল থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার: লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে সম্প্রতি ঘন ঘন কথাবার্তা হচ্ছিল আরেক তরুণীর। ঘনাচ্ছিল সন্দেহের মেঘ। তার জেরে ওই তরুণীকে খুনের অভিযোগ উঠল লিভ ইনে থাকা যুগলের বিরুদ্ধে। দিঘার হোটেলে খুন করে রামনগরে দেহ ফেলে আবার দিঘার হোটেলে গিয়ে ওঠা। অভিযুক্ত যুগলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর স্টেশনের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২৯ বছর বয়সী সুপ্রিয়া ঘোষের মৃতদেহ। ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই সুপ্রিয়াকে খুনের অভিযোগে দিঘার হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় দীপশেখর বসু এবং সুস্মিতা রায়কে। যাঁরা লিভ ইন পার্টনার।
পুলিশ সূত্রে দাবি, তদন্তে জানা গেছে শ্য়ামনগরের বাসিন্দা সুপ্রিয়ার সঙ্গে একটি যোগ প্রশিক্ষণকেন্দ্রে আলাপ হয় দীপশেখরের। সুপ্রিয়াকে একটি চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন দীপশেখর। সম্প্রতি বেড়াতে যাওয়ার নাম করে সুপ্রিয়াকে দিঘায় নিয়ে যান দীপশেখর ও সুস্মিতা। সেখানে সুস্মিতা সুপ্রিয়াকে খুন করেন বলে অভিযোগ। তারপর দীপশেখর ও সুস্মিতা গাড়ি করে মৃতদেহ রামনগরে ফেলে আবার দিঘার হোটেলে ফিরে যান। পুলিশের অনুমান, দীপশেখরের সঙ্গে সুপ্রিয়ার কথোপকথনে সুস্মিতার মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। সেই সন্দেহের জেরেই খুন বলে তদন্তকারীদের ধারণা। বুধবার ধৃত দীপশেখর ও সুস্মিতাকে আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
অন্য়দিকে, ৫৩ দিন পর ডোমজুড়ে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। ২৫ জুলাই ডোমজুড়ে উদ্ধার হয় চাদরে মোড়া এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার দেহ। মঙ্গলবার রাতে দাসনগর থেকে মৃতার স্বামী অনিল যাদবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে অনিল সম্প্রতি আরও একটি বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য পরিবারে চাপ ছিল। তার জেরেই এই খুন। ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: WB Dengue Case: পুজোর মুখে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, শহরে আট দিনে মৃত ৫