সুনীত হালদার, হাওড়া: আদালতে (court) নিয়ে আসার সময় পুলিশের (police) হাত ফস্কে পালিয়ে (run away) গেল চুরির (theft) কেসে অভিযুক্ত (accused)। শনিবার দুপুর সওয়া একটা নাগাদ উলুবেড়িয়া (uluberia) মহকুমা আদালতের সামনে ঘটনাটি ঘটে। পরে অবশ্য তাকে ধরা গিয়েছে।


কী হয়েছিল?
গত কাল চুরির অভিযোগে শেখ ফরিদুল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল শ্যামপুর থানার পুলিশ। আজ সেই ফরিদুলকেই উলুবেড়িয়া আদালতে নিয়ে আসা হচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানালেন, পুলিশের গাড়ি থেকে নামার পরেই হাত ফস্কে পানাপুকুরে ঝাঁপ দেয় সে। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে অভিযুক্তদের ধরে ফেলে পুলিশ। ধৃতকে আজই উলুবেরিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে। পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টার জন্য ফরিদুলের বিরুদ্ধে পুলিশ অতিরিক্ত আরও একটি ধারা যোগ করেছে। এর আগে আদালতে তোলার আগে এক অভিযুক্তের উপর হামলার ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। গত অগাস্টে ওই ঘটনায় হামলা চলে দাগি অপরাধী বলে পরিচিত টোটন বিশ্বাসের উপর।


আদালতে পেশের আগে হামলা...
গত অগাস্টের ওই ঘটনাটি ঘটেছিল ইমামবাড়া হাসপাতালে। সে বার প্রিজন ভ্যানে দুষ্কৃতীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। মুহূর্তের মধ্যে তোলপাড় পড়ে যায়। গুলিবিদ্ধ হয় টোটন বিশ্বাস নামে ওই দুষ্কৃতী। তাকে অপারেশন থিয়েটারেও নিয়ে যেতে হয়েছিল। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এলাকায় রীতিমতো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম ছিল টোটনের। খুন-সহ তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এ দিন আদালতে তোলার আগে দুপুর ১২টা নাগাদ ওই দুষ্কৃীতর মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। সঙ্গে ছিল আরও কয়েক জন বন্দি। হঠাৎ গুলি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রিজন ভ্যান থেকে টোটন যখন নামছে তখনই গুলি চালানো হয়। সম্ভবত রোগীর পরিজন সেজেই হাসপাতাল চত্বরে আগে থেকে বসে ছিল হামলাকারীরা। আচমকা হামলায় ইমামবাড়া হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়ায়, প্রিজন ভ্যানে বসে থাকা বাকিদের চোখেমুখেও তখন ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। খবর পুলিশ সূত্রে। মুহূর্তের মধ্যে হাসপাতাল চত্বরের ছবিটা পাল্টা যায়। হুড়োহুড়ি, চিৎকার-চেঁচামেচি। বন্ধ হয়ে যায় জরুরি বিভাগের গেট। পুলিশ জানিয়েছে, গুলি লেগেছে টোটনের। তাকে সোজা হাসপাতালের ভিতর অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। 


এবার অবশ্য হামলা নয়, পালানোর চেষ্টা অভিযুক্তের বিরুদ্ধ।  


আরও পড়ুন:বন্ধ রয়েছে ১০০ দিনের কাজ, নথিভুক্তদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের