রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: নামী ঋণ প্রদানকারী সংস্থার (Loan Company) নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার (fraud) অভিযোগ উঠল। ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) করা হয়েছে একজনকে। এই প্রতারণা চক্রের অন্যতম পান্ডাকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার (Bidhannagar Cyber Crime Branch) পুলিশ।


ঋণ প্রদানকারী সংস্থার নামে ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে প্রতারণার অভিযোগ


প্রখ্যাত ঋণ প্রদানকারী সংস্থার ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করে গ্রেফতার এক। এই চক্রের মূল পান্ডাকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। 


পুলিশ সূত্রে খবর, গত এপ্রিল মাসে ওই নামী সংস্থার পক্ষ থেকেই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানানো হয়। সংস্থার দাবি, তাদের বেশকিছু গ্রাহক তাদের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছে যে ওই সংস্থার নাম ও লোগো ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি সাধারণ মানুষদের লোন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। যাঁরা সেই লোন নিতে আগ্রহী হচ্ছেন তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে টাকা নিচ্ছেন অভিযুক্তরা। এইভাবে কয়েক লক্ষ টাকার ওপরে প্রতারণার শিকার হয়েছেন একাধিক সাধারণ মানুষ। এমনটাই অভিযোগ জানায় ওই সংস্থা।


এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে একটি দল ওই সংস্থার নাম ও লোগো ব্যবহার করে ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে। অবশেষে গতকাল রাতে পানিহাটি এলাকায় হানা দিয়ে বাসিত্তি শ্রীকান্ত নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। অভিযুক্তের থেকে ১৭টি এটিএম কার্ড, ৬টি সিম কার্ড, ৩টি মোবাইল ফোন সহ একাধিক নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই চক্রের অন্যদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন: Nadia: প্রশাসনিক বৈঠকে আমন্ত্রণ-বিতর্ক, দলের সাংসদ, বিধায়কদের ডাক না পাওয়ার অভিযোগ BJP-র


কিছুদিন আগে জানা যায়, বিদেশি নাগরিকদের টেক সাপোর্টারের নাম করে প্রতারণার কথা (Fraud Case)। ভুয়ো কল সেন্টারে (Fake Call Centre) হানা দিয়ে ১১জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। একাধিক ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট উদ্ধার করা হয়েছে।


পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে একটি ভুয়ো কল সেন্টার চালু করেছিল এই প্রতারকরা। সেই কল সেন্টার থেকে বিদেশি নাগরিকদের ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল ব্যবহার করে ফোন করত প্রতারকরা। এরপরই বিভিন্ন নামী সফটওয়্যার কোম্পানির কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিদেশি নাগরিকদের টেক সাপোর্ট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিত। সেখান থেকে টেক সাপোর্টের নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই প্রক্রিয়ায় প্রায় লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করেছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।