কলকাতা: বিধানসভায় (Assembly ) মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাবী ভাষণের মধ্যেই বিক্ষোভ বিজেপি (BJP) বিধায়কদের। এরপর অধিবেশন চলাকালীন ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।
এরপর মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের মাঝে বাধা দিয়েছে তৃণমূল। কাউন্সিলর খুন থেকে আনিস হত্যার প্রসঙ্গ তুলতে বাধা। মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি, দিল্লির নির্বাচন কমিশন ভোট করলে তিনি হারবেন। বাংলায় পুলিশকে পার্টি ক্যাডারে পরিণত করা হয়েছে। তাহেরপুরের ওসি বদলই তার প্রমাণ। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করেন। সরকারি দল পরিকল্পিত ভাবে বিধানসভায় হট্টগোল করছে। মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ, ক্ষমতা থাকলে শুভেন্দু অধিকারীকে ছুঁয়ে দেখান। প্রতিহিংসার কারণে মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। রাজ্যে আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে।’
বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, ‘৫২ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। সিবিআই ৫৬টি মামলা করেছে। শুধু তলব নয়, গ্রেফতার করতে হবে অভিযুক্তদের। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি আলোচনায় অংশ নিতে চায় না। কিন্তু বিধানসভায় বলতে গেলেই বাধা দেয় তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেন না। এই মুখ্যমন্ত্রী স্বৈরতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় সরকার যে পদক্ষেপ করেছে, এই রাজ্যেও হবে।’
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের ভোটের ফলাফলকে বঙ্গ রাজনীতির সঙ্গে জুড়ে দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘ভাল করে জোট বাঁধুন। বোম আমরা ফেলব, উত্তরপ্রদেশের ভোটের পর গণতন্ত্রের বোম। শান্তিপূর্ণ বোম, মানে গণআন্দোলন। দেখবেন সব কাঁপবে। লোকসভা ভোটে কেমন সাফ হবে দেখবেন, কোনও বাবু থাকবে না। ততদূর আমি যেতে দেব না। উত্তরপ্রদেশ ভোটের পরই ১২টা বাজাব।’ নাম নাম করে তার জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ আগে থেকেই বলছে, ইউপিতে জিতলে নবান্নে ঝড় ওঠাব। আগে ঝড় থামা তোর নিজের এলাকায়। নিজেদের ওয়ার্ডে গিয়ে ঝড় থামা। তারপর ঝড় তুলবি।’
এই চাপানউতোরের আঁচ আজ ফের বিধানসভায় এসে পড়ল।