রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: বন্যপ্রাণী আইন ভাঙার অভিযোগে অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে (Srabanti Chatterjee) জিজ্ঞাসাবাদ করল ওয়াইল্ড লাইফ (Wold Life Act) ক্রাইম কন্ট্রোল সেল। গত ১৫ জানুয়ারি শিকল বাঁধা অবস্থায় বেজির সঙ্গে সেলফি তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগ শ্রাবন্তীর (Srabanti Chatterjee) বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনায় একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে অভিনেত্রীকে (Actress Srabanti Chatterjee) নোটিস পাঠায় ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল (Wild life Crime Control Cell)। কিন্তু তৃতীয়বারের নোটিস পেয়ে গতকাল শ্রাবন্তী সল্টলেকের দফতরে আসেন। আজও তিনি আসেন দফতরে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেকআপ আর্টিস্ট ও গাড়ির চালক। উল্লেখ্য সোশাল মিডিয়ায় যেই ছবিটি পোস্ট করা হয়েছিল। তা ইতিমধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য এ রাজ্যে গো-সংরক্ষণ এবং লাভ-জেহাদ আইন চালু নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল কিছুদিন আগেই। এ রাজ্যে গো-সংরক্ষণ এবং লাভ-জেহাদ আইন চালু হবে কি না, সিদ্ধান্ত নেবে দল। দুর্গাপুর চায়ে পে চর্চায় বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি-শাসিত মধ্যপ্রদেশের নরোত্তম মিশ্র।
এদিন চা-চক্রে যোগ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নরোত্তম। এপ্রসঙ্গে তৃণমূল কটাক্ষ করে বলে, উত্তরপ্রদেশে হাথরসের মতো ঘটনা, মধ্যপ্রদেশে দলিত খুনের ঘটনা ঘটছে। আগের নিজেদের রাজ্য সামলাক, তারপর পশ্চিমবঙ্গের কথা ভাববে।
৩ মার্চ দিনটি বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বন্যপ্রাণ দিবস হিসেবে। গাছপালা এবং পশুপাখিদের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করা হয় এই দিনে। এদিন বন্যপ্রাণ ও গাছ বাঁচানোর উপর জোর দেওয়ার কথা জানান সকলেই।
১৯৭৩ সালের ৩ মার্চ বিপন্ন পশু-পাখি ও গাছ বাঁচানোর জন্য একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তারপরেও অবশ্য সচেতনতার অভাব রয়েই গিয়েছে। এখনও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পশু-পাখিদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। গাছ কাটাও সমানভাবে চলছে। এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের ৬৮-তম সাধারণ অধিবেশনে ঘোষণা করা হয়, প্রতি বছর ৩ মার্চ দিনটি বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস হিসেবে পালন করা হবে। তাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়।
বিপন্ন বন্যপ্রাণ নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করার যে আন্তর্জাতিক চুক্তি রয়েছে, ভারতও তাতে সামিল হয়েছে। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এই আইনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্যপ্রাণ শিকার হচ্ছে কি না এবং সেগুলি নিয়ে ব্যবসা চলছে কি না, তার উপর নজর রাখে এই চুক্তিতে সম্মত হওয়া দেশগুলি। রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকেও নজরদারি চালানো হয়।
আরও পড়ুন: New Bengali Movie: টলিউডে নতুন জুটি পার্নো-সোমরাজ, সামাজিক বার্তা নিয়ে আসছেন পরিচালক