ঝিলম করঞ্জাই, সন্দীপ সরকার ও সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : অ্যাডিনো-সংক্রমণ (Adenovirus Scare) নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে (Hospital) বাড়ছে শিশু মৃত্যু। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কটজনক শিশুদের (Children in Critical Condition) চিকিৎসার জন্য জেলায় ICU পরিকাঠামো তৈরি করছে স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল কর্মশালা (Virtual Workshop)। 


জেলায় ICU পরিকাঠামো


অ্য়াডিনো আতঙ্কের মধ্য়েই, সঙ্কটজনক শিশুদের চিকিৎসার জন্য জেলায় ICU পরিকাঠামো তৈরি করছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলাস্তরের হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট অর্থাৎ PICU না থাকায়, বড়দের CCU, HDU পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে মাস্ক, ক্যানুলা ও সার্কিট ব্যবহার করে শিশুদের চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল কর্মশালা। কর্মশালায় জেলার হাসপাতালগুলির শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, CCU, HDU-এর মেডিক্যাল অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এরপর হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। 


বেড সংকট একাধিক হাসপাতালে


ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে অ্য়াডিনো আতঙ্ক। জ্বর-শ্বাসকষ্টজনিত সমস্য়ায় একের পর এক শিশুর মৃত্য়ু হচ্ছে। এরমধ্যে বি সি রায় হাসপাতালে বেড সঙ্কটের অভিযোগ। পেডিয়াট্রিক ICU না পেয়ে, একের পর এক সঙ্কটজনক শিশুকে নিয়ে ফিরে যাচ্ছে পরিবার। শ্বাসকষ্টের সমস্য়া থাকায় ৩ মাসের শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন বারাসাতের এক পরিবার। কিন্তু ICU খালি না থাকায়, ফিরে যেতে হয় তাঁদের। একই কারণে গড়িয়ার এই শিশুকে নিয়েও ফিরে যেতে হয় পরিবারকে। আত্মীয়দের দাবি, শ্বাসকষ্টের সমস্য়া থাকায় তার ICU বেডের প্রয়োজন। কিন্তু বিসি রায় হাসপাতালে তা না মেলায় ফিরে যেতে হয়। 


অন্যদিকে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরেও রক্ত জোগাড় করা যায়নি বলে অভিযোগ করে বনগাঁর একটি পরিবার। পরিবারের দাবি, ৮ দিনের শিশু জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ায়, তাকে রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বুধবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে বৃহস্পতিবাপর সকাল ১০টা পর্যন্ত কলকাতার বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্ক ঘুরেও রক্ত মেলেনি। রক্ত জোগাড় করতে না পেরে অসুস্থ শিশুকে ফের বি সি রায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শেষমেষ এমআর বাঙুরে মেলে রক্ত। 


এভাবে একদিকে জেলা থেকে রেফার কেস, আরেকদিকে কলকাতায় রোগী নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তির হয়রানি কমানো যাবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর। 


আরও পড়ুন- অ্যাডিনো আতঙ্ক, ত্রাহি ত্রাহি রব বেড পেতে, চালু হেল্পলাইন, জারি একগুচ্ছ নির্দেশ