কলকাতা: বিশ্বজিৎ সরকার (Biswajit Sarkar) এবং তাঁর মাকে সাক্ষ্য দেওয়ার সময়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকে, নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Rajasekhar Mantha)। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার আগে, কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী (BJP) অভিজিৎ সরকার (Abhijit Sarkar) খুনের সাক্ষীকে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার আগে, কাঁকুড়গাছির বিজেপি (BJP) কর্মী অভিজিৎ সরকার (Abhijit Sarkar) খুনের সাক্ষীকে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বিশ্বজিৎ সরকার এবং তাঁর মাকে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকে, নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Rajasekhar Mantha)।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সাক্ষী বিশ্বজিৎ সরকারকে বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। বিশ্বজিৎ সরকার এবং তাঁর মাকে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে পুলিশকে।
নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Rajasekhar Mantha)। অভিযোগ, শনিবার, নিহত বিজেপি (BJP) কর্মীর দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের বাড়িতে গিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। সোমবারই, বিশ্বজিৎ সরকারের শিয়ালদা (Sealda) আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। এদিন, পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের করেন বিশ্বজিৎ। এর পর, নারকেলডাঙা থানাকে নোটিস দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি।
এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, সাক্ষ্যদানের সময় বিশ্বজিৎ সরকার এবং তাঁর মাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ শনিবারের সমস্ত CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখবে পুলিশ। এর পর, ফের হুমকির ঘটনা ঘটলে CBI-কে জানাতে পারবেন বিশ্বজিৎ সরকার। প্রয়োজনে CRPF-এর সাহায্য নিতে পারে CBI.
নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদাকে 'হুমকি'। মামলা তুলতে পরিবারকে 'চাপ'। শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। ২০২১-এর ২ মে, বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন, খুন হন, কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় অভিজিৎকে।
হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে ২০ জনের বিরুদ্ধে খুন, মারধর, হুমকি, লুঠপাট সহ একাধিক ধারায় চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি।