কলকাতা : 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'য় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ। রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। এই ইস্য়ুতে তিনি বিজেপি শাসিত মণিপুর-অসমের সঙ্গে তুলনা টানলেন পশ্চিমবঙ্গের! পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি তৃণমূলও।


অধীর বলেন, "মণিপুরে সরকারের কাছে সহযোগিতা পাইনি। নানা রকমের বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল। অসমে আমাদের উপর লাঠিচার্জ পর্যন্ত হয়েছে। আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে কেস পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার পর সেখানে প্রশাসনের কাছে যে সহযোগিতা আশা করেছিলাম, সেই সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি না। শুরুতেই রাস্তার বাঁদিকে আমাদের মঞ্চ করার কথা ছিল, তার পরিবর্তে ডানদিকে করতে হল প্রশাসনের হস্তক্ষেপে। সামান্য সামান্য কারণে এখানকার প্রশাসন অসহযোগিতা করছে। এখানে ২৮ তারিখে সভা করতে চেয়েছিলাম। সেটাও করতে দেওয়া সম্ভব হবে না বলেছে, কারণ প্রশাসন সেখানেও অনুমতি দিচ্ছে না।"


এপ্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, " রাহুল গাঁধীর এই যে ন্যায় যাত্রা...তার যে প্রোগ্রাম কোথায় যাব, না যাব...সব চার্ট কিন্তু আমরা অনেক আগে দিয়ে দিয়েছি। হঠাৎ করে রাতারাতি কোনও প্রোগ্রাম করছেন না রাহুল গাঁধী। এই পদযাত্রা নির্বাচনকে সামনে রেখে নয়। এই পদযাত্রার উদ্দেশ্য হল, আজকে ভারতের যে সংবিধান সেই সংবিধানকে রক্ষা করা শপথ নেওয়ার যাত্রা। "


শিলিগুড়ি পুরসভা সূত্রে খবর, ২৮ তারিখ কংগ্রেস যেখানে সভা করার জন্য় অনুমতি চেয়েছে, সেখানে পুরসভার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে।  


অধীরের অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "এই বাংলায় জোটের কবর তো খুঁড়েছে একজনই। তাঁর নাম অধীর চৌধুরী। যিনি বিজেপির হাতে তামাক খেয়ে সারাক্ষণ তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছেন। প্রত্যক্ষভাবে বিজেপিকে মদত দিয়ে যাচ্ছেন। এই বাংলার প্রশাসন স্বচ্ছ-নিরপেক্ষভাবে কাজ করে। এই বাংলায় পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ প্রশাসন করে না।" 


ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার দ্বাদশ দিনে গতকাল অসম থেকে বাংলায় আসেন রাহুল গান্ধী। সকালে অসমের ধুবড়ি থেকে ন্যায় যাত্রা শুরু হয়ে কোচবিহারের বক্সীরহাট এলাকা দিয়ে বাংলায় ঢোকে। বাংলায় ঢুকে রাহুল জানান, বিজেপি-RSS-এর অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তেই বিরোধী জোট ইন্ডিয়া তৈরি হয়েছে। দেশজুড়ে অন্যায় হচ্ছে বলেই আমাদের ন্যায় যাত্রা। RSS-বিজেপি দেশজুড়ে ঘৃণা, হিংসা ছড়াচ্ছে। সেই কারণেই বিরোধী জোট ইন্ডিয়া একসঙ্গে লড়তে যাচ্ছে।