ঝিলম করঞ্জাই এবং সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ৩০ ঘণ্টা পার, কলকাতা মেডিক্যালে (Calcutta Medical College) অচলাবস্থা অব্যাহত। পড়ুয়া-নার্স ও রোগীর পরিজনদের বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল। আটকে রয়েছেন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সার্জারি সহ একাধিক বিভাগের প্রধানরা। ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ধুন্ধুমার। পড়ুয়াদের একাংশের হাতে ঘেরাও কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ-সহ একাধিক বিভাগীয় প্রধান। মানসিক চাপ কমাতে গান ধরলেন তাঁরা। দিনভর উঠল হাসপাতালের পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ।যদিও তা মানতে নারাজ আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।  


‘গাইডলাইন মেনে নির্বাচন না করে অস্থায়ী ছাত্র সংসদ গঠন করা হোক’, অচলাবস্থা কাটাতে প্রস্তাব মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব ফেরাল আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। কাল ফের দুপক্ষের আলোচনার সম্ভাবনা। পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ রোগীর পরিজনদের। পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়েনি, দাবি আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের। 



ঠিক কী ঘটেছে?             


ঠিকঠাক পরিষেবা মিলছে না, এই অভিযোগ তুলে এদিন একদল রোগীর আত্মীয় হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের কাছে জড়ো হন! আন্দোলনকারীদের সঙ্গে শুরু হয় বাদানুবাদ। হাসপাতালের পরিষেবা ব্যাহত হওয়া নিয়ে আবার ভিন্ন সুর শোনা যায় নার্সদের মধ্যে। তাঁরা বলেন, কোনও পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে না। যাঁরা থাকার, তারা রয়েছে। অন্য আরেক নার্স বলেন, ম্যানপাওয়ার কম থাকলে, পরিষেবা তো বিঘ্নিত হবেই।'                                                                             


আরও পড়ুন, ওএমআর শিটে শূন্য, অথচ সার্ভারে নম্বর বেশি! 'অযোগ্যদের' তালিকায় কারা কারা রয়েছেন?


মেডিক্যাল কলেজের সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরির কাছে মঙ্গলবার দেখা যায় লম্বা লাইন! সকাল থেকেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় রোগীর আত্মীয়দের। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে টোকেন দেওয়া, পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়ার কাজ শুরু হলেও, এদিন কাউন্টার খোলে বেলা পৌনে বারোটায়।                      


রোগী পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার কথা মেনে নেন খোদ অধ্যক্ষ। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, আন্দোলনের জেরে এদিন পরিষেবার পাশাপাশি ব্যাহত হয় পঠনপাঠনও।