অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠানোর তোড়জোড় শুরু। বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীকে ১ কোটি চিঠি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিষেক।


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে শুরু চিঠি লেখার কাজ। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন ১০০ দিনের জব কার্ড হোল্ডাররা। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মেটানোর দাবিতে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভও দেখান। আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে খালিনা বাজারে টেবিল পেতে বসেন তৃণমূল নেতারা। ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড হোল্ডাররা মিছিল করে সেখানে আসেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির নীচে সাদা কাগজে চিঠি লিখে সই করেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, ১০০ দিনের কাজের টাকা চেয়ে এই খাম বন্দি চিঠি পাঠানো হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। বিজেপির কটাক্ষ, চিঠি লিখে লাভ নেই, রাজ্য হিসেব না দিলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা মিলবে না। 


কী বলেছিলেন অভিষেক:
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ-অঞ্চল সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, ব্লক সভাপতিদের বলছি যাঁরা এই বক্তব্য শুনছেন, তাঁদেরকেও অনুরোধ করছি, প্রত্যেক বুথে কারা ১০০ দিনের কাজ করেও পাওনা টাকা থেকে বঞ্চিত, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। তালিকা তৈরি করে বুথে বুথে মানুষের কাছে যান এবং তাঁদের দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের উদ্দেশে চিঠি লেখান।'


এই পদ্ধতিতেই আন্দোলনের পথ বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। 


নারায়ণগড়ের ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার দীপালি জানা বলেছেন, 'আমরা ১০০ দিনের কাজ করেছি, আজ পর্যন্ত টাকা পাইনি। জব কার্ড হোল্ডাররা আমার বাড়িতে গিয়ে ঝামেলা করছে তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামতো তাই আজ সকাল থেকে আমরা সেই স্বাক্ষর কর্মসূচিতে নেমেছি সেই চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাই আমাদের মহিলারা সেই আন্দোলনে নেমেছি।'


গোটা ঘটনায় তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তৃণমূলের বিরুদ্ধেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের তরফে টাকার হিসেব দেওয়া হচ্ছে না। সেই কারণেই টাকা দিতে পারছে না কেন্দ্র, দাবি তাঁর। শমীকের দাবি, 'সর্বভারতীয় দল, এক কোটিতে থেকে থাকবে কেন, ৩০ কোটি চিঠি লেখা উচিত। এই রাজ্যের চরম অব্যবস্থা থেকে নজর ঘোরাতে এই দুর্বল চিত্রনাট্য।' 


আরও পড়ুন: 'আমার বয়স হয়েছে, আজকের বাচ্চা ছেলেরা সমাজের মাথা হবে', ফিরহাদের বক্তব্য়ে কোনও ইঙ্গিত?