কলকাতা: সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা এলাকায় পার্কিং ফি বৃদ্ধি ইস্যুতে পিছু হঠতে হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই বর্ধিত পার্কিং ফি-এর সিদ্ধান্ত নিয়ে পিছু হঠতে হয়েছে। এই ঘটনায় প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ ধেয়ে এসেছে ফিরহাদ হাকিমকে লক্ষ্য করে। তারপরেও তিনি কিছু বলেননি। রবিবার চেতলার একটি অনুষ্ঠানে তিনি মুখ খুললেন। কী বললেন ফিরহাদ হাকিম?
চেতলার অনুষ্ঠানে কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রীর গলায় আবেগের সুর শোনা গেল। তিনি বলেন, '২৫ বছর ধরে আমি কাউন্সিলর, আপনাদের সেবা করেছি। আমার বয়স হয়ে গিয়েছে। মানুষ আসবে, মানুষ যাবে, উন্নয়ন থাকবে। আজকের বাচ্চা ছেলেরা সমাজের মাথা হবে, সমাজের উন্নয়ন করবে।'
এমন কথা কেন বললেন ফিরহাদ? তাঁর কথার মধ্যে কি কোনও ইঙ্গিত রয়েছে? তা নিয়েই ক্রমশ উঠছে প্রশ্ন।
আগেই আক্রমণ কুণালের:
ফি বৃদ্ধির ঘোষণা নিয়ে তুমুল সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে, কলকাতা পুরসভার পার্কিং ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে, মুখ্যমন্ত্রীর অগোচরে নেওয়া, এবং কার্যত জনবিরোধী বলে আখ্যা দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে নিশানা করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে।
সূত্রের খবর তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর তরফে মেয়রের কাছে ফোন যাওয়ার পরে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কলকাতা পুরসভা। যদিও নথি বলছে, কলকাতা পুরসভায় মেয়র পারিষদদের বৈঠকে পার্কিং ফি বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। তারপর পুরসভার বাজেট অধিবেশনেও ধ্বনিভোটে পাস হয় এই প্রস্তাব। কলকাতা পুরসভার বাজেটের বইতেও এর উল্লেখ রয়েছে।
এই নিয়ে প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'কনফিডেন্স ভাল, ওভার কনফিডেন্স ভাল নয় ... ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।' এমন কাজ করার আগে অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন ছিল বলেও জানান তিনি।
মার্চের প্রথম দিকে ফুরফুর শরিফের উন্নয়ন পর্ষদে ফিরহাদ হাকিমের জায়গায় বসেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্তকে। গত বিধানসভা ভোটের আগে পর্যন্ত ওই দায়িত্ব সামলেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি পদ ছেড়ে দেওয়ার পরে সেই দায়িত্ব এতদিন সামলাচ্ছিলেন হুগলির জেলাশাসক। সেই পদেই বসানো হয়েছে হুগলির তৃণমূল নেতা তপন দাশগুপ্তকে। নতুন দায়িত্ব পেয়েই ফুরফুরায় পৌঁছেছিলেন তপন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উন্নয়ন পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেদিন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গেও কথা বলেছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: 'দিল্লির দরবারে নাটক...কেন বাংলার বকেয়া নিয়ে সরব নন?' ডিএ আন্দোলনকারীদের তোপ কুণালের