কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর মুকুটে নতুন পালক। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Mamata Banerjee) সাম্মানিক ডি-লিট দিল সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়(St. Xavier's University)। উচ্চশিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য দেওয়া হল সাম্মানিক ডি-লিট। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুখ্য়মন্ত্রীর হাতে ডি লিট তুলে দিয়েছেন।
এই সম্মান হাতে পেয়েই তা সাধারণ মানুষকে উৎসর্গ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমি এই ডিগ্রি সাধারণ মানুষকে উৎসর্গ করলাম। আমি সাধারণ মানুষ হয়েই থাকতে চাই।' তিনি আরও বলেছেন, 'আমি কৃতজ্ঞ, এই সম্মান আমার অনুপ্রেরণা। সেন্ট জেভিয়ার্সের সব ছাত্রকে আমার শুভেচ্ছা। দেশে একতা, সাম্য বজায় রাখা জরুরি। জীবনকে সর্বদা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখুন।'
সাম্মানিক ডি-লিট দেওয়ার পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) প্রাক্তনী সংসদের সদস্যপদও দেয় সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় (St. Xavier's University) কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, সেন্ট টেরেজার নামে একটি চেয়ার পদ তৈরির আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী।
ভূয়সী প্রশংসা রাজ্যপালের:
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্ববিখ্য়াত মনীষীদের সঙ্গে তুলনা করলেন রাজ্যপাল। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং শিক্ষাবিদ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম, অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে মমতার তুলনা রাজ্যপালের। তিনি বলেন, 'যেসব রাজনীতিবিদ সাহিত্যেও অনন্য নজির রেখেছেন, মমতা তাঁদের মধ্যে অন্যতম।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর কৃতিত্বের জন্য কুর্নিশ, বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। উইনস্টন চার্চিল, মিল্টনের সঙ্গে এক আসনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বসালেন রাজ্যপাল।
গতবছর সেন্ট জেভিয়ার্সের ভাইস চ্যান্সেলর ফাদার ফেলিক্স রাজ বলেছিলেন, '৬ ফেব্রুয়ারি সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হবে। সেদিন আমরা মুখ্য়মন্ত্রীকে ডিলিট দেব।' কথা মিলিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Mamata Banerjee) সাম্মানিক ডি-লিট দিচ্ছে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি আরও বলেছিলেন,' সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঁর অবদানের জন্য আমরা এই সম্মান তাঁকে দেব। পশ্চিমবঙ্গে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই ওঁর অবদান রয়েছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর অনেক অবদান রয়েছে।'
এর আগেও সম্মান:
এর আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডিলিট উপাধি দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে এই সম্মান দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৎকালীন আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠির হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ঘটনায় রাজনৈতিক তরজাও কম হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট দেওয়া হবে এই খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় তরজা।
আরও পড়ুন: বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়ে মন্তব্য মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি পরেশ রাওয়ালের