পুরুলিয়া: জয়নগরের পর জয়পুর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পর পুরুলিয়া (Purulia News)। ফের সিপিএমের প্রতিনিধি (CPM representatives Faced Resistance) দলকে বাধার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। গত ৪ নভেম্বর শিল্পতালুকের পাঁচিল তোলা ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পুরুলিয়ার জয়পুর। ওই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police Arrest 13 People In Purulia News)। অভিযোগ, আজ জয়পুরের অঘোরপুর গ্রামে যেতে গেলে সিপিএমের প্রতিনিধি দলকে বাধা দেয় প্রশাসন।
প্রেক্ষাপট...
দিনদুয়েক আগেই পুরুলিয়ার জয়পুরে আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে ধৃত গ্রামবাসীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় বাধা দিয়েছে পুলিশ, এমনই শোনা গিয়েছিল সে দিন। জয়পুরের গ্রামে ঢোকার আগে গার্ডরেল দিয়ে আইএসএফ বিধায়ককে আটকানো হয় বলে খবর। পুলিশের সঙ্গে প্রথমে আইএসএফ বিধায়কের বচসা বাধে। বাধা পেয়ে ব্যারিকেডের সামনেই বসে পড়েন নৌশাদ সিদ্দিকি। তবে শুধু পুরুলিয়া নয়। জয়নগরের ঘটনাতেও এক অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে।
জয়নগরে এক ছবি...
জয়নগরের দাপুটে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের অভিযোগ ওঠার পর থেকে তুলকালাম শুরু হয়। অভিযোগ, পাল্টা হিসেবে দলুয়াখাকি গ্রামে বেছে বেছে সিপিএম কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় নির্মম ভাবে। সেই ঘটনায় অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি পরিবার ঘরছাড়া হয়েছিল বলে সিপিএম সূত্রে খবর। তাঁরা দলীয় দফতরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ঘটনার পরদিন, সেই ঘরছাড়া গ্রামবাসীদের বাড়ি ফিরিয়ে দেবেন বলেই সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো বর্ষীয়ান সিপিএম নেতারা এসেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, সিপিএম নেতারা গ্রামের ভিতর গেলে অশান্তি হতে পারে এই যুক্তিতে সুজনদের আটকে দেওয়া হয়। এতেই শেষ নয়। ওই টানাপড়েনের পর, ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিও এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাঁকেও একই বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়ে, ভাঙড়ের বিধায়ক পুলিশ আধিকারিকদের বলছেন, যে আইনের জোরে তাঁকে আটকানো হচ্ছে, সেই আইনি কাগজ দেখানো হোক। সে রকম কোনও কাগজ পুলিশের তরফে দেখানো না হলেও নৌশাদকে ভিতরে যেতে দেওয়া হয়নি, এমনই অভিযোগ। এর মধ্যেই তৃণমূল কর্মীরা নৌশাদকে 'গো ব্যাক' স্লোগান দেয় বলে শোনা যায়।
আরও পড়ুন:ময়দান চত্বরে কাটা যাবে না কোনও গাছ, নির্দেশ হাইকোর্টের