আবির দত্ত, কলকাতা : আইএসএফ বিধায়ক (ISF MLA) নৌশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui) তলব পুলিশের । গতকাল নোটিস পাঠিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গড়ফা থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। জয়নগর যাওয়ার পথে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের গাড়িতে নৌশাদের গাড়ি ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। আইএসএফ বিধায়ক ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে দুর্ব্য়বহারের অভিযোগ ওঠে। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো ও হেনস্থার অভিযোগে মামলা রুজু হয়।


আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইটের রেজিস্ট্রার।অভিযোগ ওঠে, গত মঙ্গলবার দুপুরে ইএম বাইপাসে অভিষিক্তা ক্রসিংয়ের কাছে একটি গাড়িতে ধাক্কা মারে নৌশাদ সিদ্দিকির গাড়ি। ওই গাড়িতে ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইটের রেজিস্ট্রার চন্দ্রাণী মুখোপাধ্য়ায় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, প্রতিবাদ করায় আইএসএফ বিধায়ক, তাঁর গাড়ির চালক ও নিরাপত্তারক্ষী তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তিনজনের বিরুদ্ধে গড়ফা থানায় অভিযোগ করেন তিনি।


যদিও এপ্রসঙ্গে আইএসএফ বিধায়ক বলেছিলেন, 'ওই গাড়ি আমাদের গাড়িকে চাপছিল, বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। মরে যেতাম। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখলেই তো দুধ কা দুধ পানি কা পানি হয়ে যাবে।'


ঘটনার পর নৌশাদ সিদ্দিকি, তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো ও হেনস্থার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখে গড়ফা থানার পুলিশ।


প্রসঙ্গত, দিন দু'য়েক আগে জয়নগরের গোচরণে আটকে দেওয়া হয় নৌশাদকে। বিষয়টি নিয়ে যখন পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন আইএসএফ বিধায়ক, তখনই শোনা যায় তৃণমূল কর্মীরা 'গো ব্যাক' স্লোগান দিচ্ছেন। 


তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুনের অভিযোগ ওঠার পর দলুয়াখাকি গ্রামের একাধিক বাড়িতে পাল্টা হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। বেছে বেছে সিপিএম কর্মীদের বাড়িতে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় ঘরছাড়া গ্রামবাসী বাড়ি ফিরতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে যান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়-সহ অনেকে। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ সিপিএম নেতা এবং গ্রামবাসী কাউকেই ঢুকতেই দেয়নি। পুলিশের অবশ্য দাবি, স্রেফ সিপিএম নেতাদেরই আটকানো হয়েছে। যদিও ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবি অন্য কথা বলে। এই টানাপড়েনের পর, ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিও এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাঁকেও একই বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়ে, ভাঙড়ের বিধায়ক পুলিশ আধিকারিকদের বলছেন, যে আইনের জোরে তাঁকে আটকানো হচ্ছে, সেই আইনি কাগজ দেখানো হোক। সে রকম কোনও কাগজ পুলিশের তরফে দেখানো না হলেও, নৌশাদকে ভিতরে যেতে দেওয়া হয়নি, এমনই অভিযোগ। এর মধ্যেই তৃণমূল কর্মীরা নৌশাদকে 'গো ব্যাক' স্লোগান দেয় বলে শোনা যায়।