পার্থ প্রতিম ঘোষ, কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর পর, অবশেষে সোমবার ক্যাম্পাসে এলেন ইউজিসির প্রতিনিধিরা। অরবিন্দ ভবনে একে একে ডেকে পাঠানো হল একাধিক আধিকারিক ও অধ্যাপকদের। হস্টেল সুপারদের ডেকে তাঁদের সঙ্গেও কথা বললেন ইউজিসি প্রতিনিধিরা।


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে পড়ুয়া মৃত্যুর, ২৫ দিনের মাথায় ক্যাম্পাসে এল ইউজিসির প্রতিনিধিদল। সোমবার সকাল ১১ টা থেকে সন্ধে সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত, প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা ক্যাম্পাসে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধিরা। ৪ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন, অধ্যাপক শশীকলা আঞ্জারি, অধ্যাপক সঞ্জয় শ্রীবাস্তব, অধ্যাপক জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিপিন কৌশল। অরবিন্দ ভবনের দোতলায় সহ উপাচার্যের ঘরে একাধিক আধিকারিককে একে একে তলব করেন ইউজিসির প্রতিনিধিরা। ডাকা হয় রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু, এবং মৃত ছাত্র যে বিভাগের পড়ুয়া ছিলেন তার প্রধান ও অধ্যাপকদের।


এরপর UGC-র প্রতিনিধিরা জানতে চান,



  • ইউজিসির গাইডলাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কতখানি মানা হয়েছে?


  • মৃত্যুর আগে ওই পড়ুয়ার আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল কি না?


  • ওরিয়েন্টেশনের দিন কী হয়েছিল?


  • অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি কী কাজ করেছে?


বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন,“ওরা কেন এসেছে আমার জানি না। যাদের যাদের ডাকছিল পাঠাচ্ছিলাম। আমাদের সবার যাওয়ার অনুমতি ছিল না।’’ এদিন ডাকা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন হস্টেল সুপারকেও। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলে ইউজিসি প্রতিনিধি দল। ছাত্রমৃত্য়ুর পর ২৫ দিন পেরিয়ে গেলেও, এখনও ক্য়াম্পাসে বসেনি সিসি ক্য়ামেরা। এবিষয়ে উপাচার্য জানিয়ে দেন, “ছাত্ররা আন্দোলন করলেও সিসিটিভি বসবে।’’ মঙ্গলবার বা বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারে ইসরোর প্রতিনিধি দল। ক্যাম্পাসে র‍্যাগিং রুখতে নতুন প্রযুক্তির সাহায্য় কীভাবে নেওয়া যায়, তা নিয়ে তাঁরা কথা বলবেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।


এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে প্রাণনাশের হুমকি-চিঠির তদন্তে নেমে অন্য় একটি মামলায় কোচবিহারের অধ্যাপক রানা রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে টালা থানায় এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলায় ওড়িশার ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে অধ্যাপক রানা রায়কে গতকাল গ্রেফতার করে পুলিশ। যাদবপুরের রেজিস্ট্রার ও জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে খুনের হুমকি, অশ্লীল ভাষায় চিঠি পাঠানোর ঘটনাতেও নাম জড়ায় কোচবিহারের ওই অধ্যাপকের। তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন অধ্যাপক রানা রায়।


আরও পড়ুন: Dhupguri By Election: পিছু ছাড়ছে না 'সন্ত্রাস-আতঙ্ক', রাত পোহালেই ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন