কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে এবার তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি অগ্নিমিত্রা পালের। 'মারের বদলা মার, বাকিটা দল দেখে নেবে', লেকটাউনে চায়ে পে চর্চায় গিয়ে মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের। অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মন্ত্রী মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, তৃণমূল মারে নয়, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।                                 

  


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই কুকথা বাড়ছে রাজনীতির আঙিনায়। যেখানে সরকারি কর্মীরা সার্ভে করছেন, সেখানে তৃণমূল নেতাদের ঘোরাফেরা করতে দেখলেই, গাছে বেঁধে পেটান। হুমকি বাঁকুড়ার ওন্দার বিজেপি বিধায়কের।                                        


ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেন, "পশ্চিম বাংলার মানুষকে বলব, ..... যেখানে সরকারি কর্মচারীরা সার্ভে করছে, সেই জায়গায় যদি তৃণমূলের নেতারা ঘোরাফেরা করে, আপনারা গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখবেন। যদি গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন, তাহলে দেখবেন প্রকৃত যারা প্রাপ্যদার...তারা তাদের ঘর পাবে। আর যারা প্রাপ্য়দার নয়, তারা ঘর পাবে না।"                                                             


আরও পড়ুন, ভারতের সবচেয়ে 'ভুতুড়ে' কেল্লা! মনে সাহস নিয়ে দুর্গে ঢোকেন পর্যটকরা


এর আগে বিজেপির বিধায়ক, সাংসদকে এলাকায় দেখলে জুতোপেটা করে গ্রামছাড়া করার বিধান দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল নেতা। মহিলাদের হাতা-খুন্তি নিয়ে তেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন বিষ্ণুপুরের INTTUC সভাপতি। এলাকায় দেখা যায় না তাই এই মন্তব্য, সাফাই তৃণমূল নেতার। গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি।                                                                                                                        


তৃণমূল নেতার মন্তব্যে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি সাংসদ। বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক সৌমিত্র খাঁ বলেন, যেভাবে দুর্নীতি করছেন পরে তার ফল পাবেন...কে জুতো খাচ্ছে কে বাড়িছাড়া হচ্ছে এই করেই শেষ করেছে...বাংলার মানুষ তৈরি আছে। সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি জানিয়েছেন, ছোটখাটো নেতা কোথায় কী বলল, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।