হিন্দোল দে: বেসরকারি বিমা সংস্থার পেনশন স্কিমে বাড়তি টাকা পাওয়ার টোপ দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিককে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠল। চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে ১৬ দফায় ১৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় রেশম পর্ষদের প্রাক্তন যুগ্ম অধিকর্তা প্রবীর মিত্রর দাবি, ২০১১ সালে তিনি বেসরকারি বিমা সংস্থার পেনশন স্কিমে বিনিয়োগ করার ৭ বছর পর থেকে পেনশন পেতে শুরু করেন। অভিযোগ, গত জুলাইয়ে তাঁকে ফোন করে বাড়তি টাকা পাওয়ার টোপ দিয়ে ডিসেম্বর মাসে ২৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা বলা হয়। অভিযোগকারীর দাবি, এভাবে তাঁর কাছ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।  বারুইপুর পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। 


আন্তর্জাতিক ঋণ-প্রতারণাচক্র: অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা! মূল চক্রী দুবাই থেকে দেশে ফিরতেই গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সাইবার শাখা। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হবে। আন্তর্জাতিক ঋণ-প্রতারণাচক্রে মোট কতজন জড়িত, তদন্তে লালবাজার। ই-নাগেটস মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণাকাণ্ডের পর আর একটি প্রতারণার ঘটনায় প্রকাশ্যে এল দুবাই যোগ। 


সহজে ঋণের টোপ: অ্যাপ ডাউনলোডের অছিলায় ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে ব্ল্যাকমেল। দুবাইয়ে বসে ভারতে কোটি কোটি টাকার জালিয়াতি! ঋণ অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। ধৃত সনিয়া খারাতমল মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা হলেও, মাস ছয়েক ধরে দুবাইতে ছিলেন।


পুলিশ সূত্রে দাবি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সবচেয়ে জনবহুল শহরে বসে ভারতে প্রতারণার বিশাল কারবার ফেঁদেছিলেন সনিয়া। কীভাবে অপারেশন চালাতেন তরুণী?পুলিশ সূত্রে খবর,সহজে ঋণের টোপ দিয়ে মোবাইল ফোনে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হত। ওই অ্যাপ ডাউনলোড করলেই মোবাইল ফোন থেকে হাতিয়ে নেওয়া হত যাবতীয় তথ্য। 


তারপর মোটা টাকা চেয়ে চলত ব্ল্যাকমেল। টাকা না দিলে, ছবি বিকৃত করে, সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে বদনাম করার হুমকি দেওয়া হত। পুলিশ সূত্রে দাবি, এভাবেই কয়েক মাসে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছিলেন এই তরুণী। 


১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা: এই একই দিনে আরও একটি প্রতারণার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ব্যাঙ্কের এসএমএস অ্যালার্টের নম্বর পরিবর্তন করে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল। সল্টলেকের এ কে ব্লকের বাসিন্দার অভিযোগ, তিনি মেল মারফত জানতে পারে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৯লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে।


অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে নৈহাটি থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম বিভাগ। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারীর অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত ফোন নম্বর ব্যবহার করে সেই টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। যাঁর নামের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, সেই অ্যাকাউন্ট অন্য একজন ব্যবহার করেন। সেই সূত্র ধরে নৈহাটি থেকে ধানবাদের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চক্রে আর কারা জড়িত, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।