কলকাতা: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কুকথা, গালিগালাজ। বহিষ্কৃত ছাত্রনেতার কীর্তিতে রাজ্য জুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়।  ঘটনায় সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল। এই নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। ঘটনার নিন্দা করলেও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।


আলিয়াকাণ্ড নিয়ে এবার মুখ্যসচিবকে তলব করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কাল দুপুর ১টায় মুখ্যসচিবকে তলব রাজ্যপালের। উপাচার্যকে হেনস্থার ভাইরাল ভিডিও ট্যুইট রাজ্যপালের। তিনি বলেন, ‘ভাইরাল ভিডিওয় অত্যন্ত উদ্বেগের ছবির প্রতিফলন। দুর্বৃত্তকারীরা যেভাবে আইন লঙ্ঘন করছে, তা ভয়ঙ্কর। আমাদের গুরু শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করা উচিত। এই আচরণ কাম্য নয়।’


এদিকে রাজ্যপালের এই মন্তব্য-টুইট নিয়ে পাল্টা তোপ দেগেছেন কুণাল ঘোষও। তিনি বলেন, "বিজেপি ক্ষমতায় থাকাকালীন মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম কেলেঙ্কারি, ত্রিপুরায় ১০৩২৩ জন শিক্ষককে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলি জানেন রাজ্যপাল।" এই ঘটনায় ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত, বহিষ্কৃত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র বিতর্ক থামার কোনও লক্ষণ নেই! উল্টে এই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে তীব্র নিশানা করেছে বিজেপি।  


আরও পড়ুন, দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকেই, জ্বালানির জ্বালা প্রসঙ্গে মত অর্থনীতিবিদদের


রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তোপ দেগে ট্যুইট করেছেন, "বিচ্ছিন্ন ঘটনা? মোটেও না, তথাকথিত ‘বাংলার মেয়ে’-র শাসনকালে, এটাই এখন বাংলার সংস্কৃতি। উপাচার্যকে ঘেরাও করা, বিক্ষোভ দেখানো, এ রাজ্যে নতুন নয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায়শই এমন ছবি দেখা যায়। কিন্তু আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন।" 


আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও খুনের হুমকির অভিযোগে বহিষ্কৃত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে গ্রেফতার করল টেকনোসিটি থানার পুলিশ। শুক্রবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালান টিএমসিপির প্রাক্তন ইউনিট প্রেসিডেন্ট গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। পুলিশকে ফোন করেও সাহায্য মেলেনি বলে দাবি করেন উপাচার্য। উপাচার্যকে হেনস্থার প্রতিবাদে কাল থেকে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পড়ুয়াদের একাংশ।