অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi murmu) নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। তা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি (Panchayat Elections 2023)। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদে শামিল বিজেপি। সেই আবহেই এ বার আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar News) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে বলে দাবি সামনে এল। বুধবার সেখানকার আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের ৫০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের (BJP)। যদিও দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল (TMC)।


৫০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের


বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে। তার আগে জেলায় জেলায় সংগঠন মজবুত করতে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী সব শিবিরই। তাতে দল ভাঙানো, দলভারী করার ঘটনাও চোখে পড়ছে ইতিউতি। এ বার আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শআমুকতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্জুন পাড়া এলাকাতেও তেমনই ঘটেছে বলে দাবি বিজেপি-র। 


গেরুয়া শিবিরের দাবি, বুধবার বিধায়কের হাত থেকে প্রায় ৫০টি পরিবার  বিজেপির পতাকা তুলে নিয়েছে। তবে দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে মন্তব্য নয়, অনুন্নয়নের জন্যই শাসক দল ছেডে় দলে দলে সকলে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।  


যদিও বিজেপি বিধায়কের দাবি,  রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মুকে অপমান করায় আদিবাসী সমাজ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ করছে, বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। এখানেও তারই প্রতিবাদে প্রায় ৫০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদান করেছে। তৃণমূলের এই গড়ে আগামী দিনেও বৃহদাকার যোগদান পর্ব হবে বলে দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক। 


আরও পড়ুন: Group D Recruitment: তৃণমূল-বিজেপি বোঝাপড়াতেই তদন্তে ঢিলেমি সিবিআই-এর, দাবি সিপিএম নেতার


বিজেপি বিধায়কের এই দাবি যদিও মানতে নারাজ জেলা তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী বলেন, "আমাদের দলের কেউ বিজেপি-তে যোগদান করেনি। এটা সাজানো।" তবে রাষ্ট্রপতিকে অপমান করায় যোগদানের প্রশ্নে মৃদুল বলেন, "অখিল গিরি যা বলেছেন, তা অন্যায়। দল সতর্ক করেছে। দলের সর্বোচ্চ নেত্রী ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু ওঁদের নেতা, আমাদের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদাকে যা বলেছেন, তার জন্য কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চাওয়ার সাহস দেখাবেন!" 


বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে


উল্লেখ্য, কুমারগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত এই শামুকতলা গ্রাম পঞ্চায়েত বর্তমানে তৃণমূলের দখলে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ১০টি আসন। বাকি ৩টি আসনে জয়ী হয় কংগ্রেস, বিজেপি ২টি আসনে, আসনে, আরএসপি ১ আসন পায়।