অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: নির্বাচনের আগে ঘন ঘন যাতায়াত থাকলেও, ভোটবাক্স পূর্ণ হলেই আর দেখা মেলে না। সংবাদমাধ্যমে একাধিক বার এ নিয়ে মুখ খুললেও, নেতা-মন্ত্রীদের সামনে সাধারণত নীরবই থাকেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু তার অন্যথা ঘটল আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar News)। পুরভোটের প্রচারে বিজেপি (BJP) বিধায়ক। সেখানে তাঁকে এই অপ্রিয় প্রশ্নই ছুড়ে দেন এক বৃদ্ধ।
আলিপুর দুয়ার পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। সেখানে আসন্ন পুরভোটে (WB Municipal Elections 2022) বিজেপি-র প্রার্থী বাবলি ঘোষ। বুধবার কর্মী-সহযোগীদের নিয়ে প্রচারে বেরোন তিনি। সঙ্গে ছিলেন কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওঁরাও-ও। মনোজকে উদ্দেশ্য করেই ওই মন্তব্য করেন এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা।
কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বেশ উদ্দীপনার সঙ্গেই চলছিল প্রচার। কিন্তু কল-কাকলি স্কুলের গলিতে পৌঁছতেই অপ্রস্তুতে পড়তে হয় প্রার্থী এবং বিধায়ককে। সেখানে এক মহিলার উদ্দেশে বাবলি বলেন, “মাসিমা পাশে থাকবেন। পদ্মফুলে ভোট দেবেন। এই পিছনেই আমার বাড়ি।”
কিন্তু প্রবীণার মনজয়ের চেষ্টার মধ্যেই বাবলিকে কটাক্ষ ছুড়ে দেন এক প্রবীণ ব্যক্তি। বাবলির উদ্দেশে বলেন, “তোমাদের বিধায়ককেই তো দেখলাম না! জেতার পর এক বারও খোঁজ নেননি।” পাশেই চিলেন মনোজ। বৃদ্ধের কথা শুনে অপ্রস্তুতে পড়ে যান তিনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেন, “অনেক বড় জায়গা। সব সামলাতে হয় বিধায়ককে।”
আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar Update: আদালতে জবাবদিহিতে বাধ্য নন রাজ্যপাল, ধনকড় অপসারণ মামলা খারিজ হাইকোর্টে
কিন্তু তাতেও দমে যাননি প্রশ্নকারী ওই বৃদ্ধ। পাল্টা তিনি বলেন, “অনেক বড় জায়গা হলেও, আমার মতো ক্ষুদ্র লোকের খোঁজ আপনারা নেবেনই বা কেন?” তিনি আরও বলেন, “যাকে ইচ্ছে জিজ্ঞেস করে দেখুন, বিধায়ককে কেউ খুঁজেও পায় না। এ ভাবে করলে তো হয় না! আপনাদের চিনতাম না। তা-ও ভোট দিয়েছি। এই যে বিধায়ক দাঁড়িয়ে রয়েছেন, আমরা চিনি না। চলার পথে ধাক্কা খেলেও পারব না চিনতে।”
এমন প্রশ্নের মুখে পড়ে কার্যতই অস্বস্তিতে পড়েন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। ওই বৃদ্ধ থামছেন না দেখে তাঁকে শেষমেশ জড়িয়ে ধরেন বাবলির স্বামী তথা বিজেপি-র জেলা সহ-সভাপতি রাজু ঘোষ। তার পরেও ওই বৃদ্ধকে বলতে শোনা যায়, “যারা জিতিয়েছে, তাদের দেখতে হয়।”
এর পর আর প্রচার এগোয়নি বিজেপি প্রার্থীর। প্রচার থামিয়ে সেখানেই সকলকে নিয়ে বসে পড়েন। গোটা ঘটনায় গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।