অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় প্রহর গুনছে রাজ্য। তার মধ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপ। করোনা আবহের মধ্যেই বৃষ্টির হাত ধরে ডেঙ্গির বিপদ চোখ রাঙাচ্ছে। জমা জল ডেঙ্গির মশার আঁতুড়ঘর।  কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সেই আঁতুড়ঘরের সংখ্যা বাড়ছে বিভিন্ন এলাকায়। 


এবার ডেঙ্গিতে একজনের মৃত্যুর খবর মিলল উত্তরের আলিপুরদুয়ার থেকে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কালচিনির বাসিন্দা ষাট বছরের এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে।  এডিস মশাবাহিত ভাইরাসে ৫টি ব্লকে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন । 

ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া প্রবণ জেলা বলে পরিচিত আলিপুরদুয়ার। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে ভুটান সীমান্ত লাগোয়া জয়গাঁতে উদ্বেগজনক হারে ছড়িয়েছিল ডেঙ্গি। বর্তমান পরিস্থিতিতে মশাবাহিত রোগ ঠেকাতে জেলা জুড়ে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। 


জমা জলের বিরুদ্ধে মাইকে চলছে সচেতনতা প্রচার। এলাকায় জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মাথাব্যথা, বমি, পেশিতে টান, গাঁটে ব্যথার মতো উপসর্গ থাকলে করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া পরীক্ষায় জোর দেওয়া হচ্ছে।  এলাকা চিহ্নিত করে মশানাশক রাসায়নিক স্প্রে করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।

সম্প্রতি কলকাতায় ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্তের ছবি প্রকাশ পেয়েছে পুরসভার তথ্যে। রাজধানীতে যখন ম্যালেরিয়া আতঙ্ক, উত্তরে তখন ডেঙ্গির অশনি সঙ্কেত। 

জুলাই মাসের শুরুতে, ভরা বর্ষায় যদিও দেখা যায়, উত্তর ২৪ পরগণায় গতবারের তুলনায় এবার ডেঙ্গির সংক্রমণ যথেষ্ট কম। গতবছরের মতো এবারও করোনা আবহে উত্তর ২৪ পরগনায় কিছু ডেঙ্গির কিছু কেস দেখা গিয়েছে।  তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর দাবি করছে, ২০১৯-২০-র তুলনায় এ বছরের ছবিটা অনেকটাই স্বস্তির। ২০১৯-এ উত্তর চব্বিশ পরগনায় ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল ডেঙ্গি। সেবার গোটা জেলায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। এবার আর থেকে অবস্থা অনেকটাই ভাল। ডেঙ্গির দাপট এই বছর কিছুটা কমায় একটু স্বস্তিতে উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দারা।