অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: হাতির কাটা মুণ্ড উদ্ধারের তিন দিন পর নদী থেকে উদ্ধার হল হাতির একটি কাটা পা। হাতির দেহের বাকি অংশের খোঁজ চালাচ্ছে বনদফতর। উদ্ধার হওয়া কাটা পা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে বলে বনদফতরসূত্রে খবর। 


গত শুক্রবার একইভাবে কুমারগ্রাম ব্লকের অসম-বাংলা সীমান্তের ভলকা-বারোবিশা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সংকোশ নদী থেকে উদ্ধার হয়েছিল হাতির কাটা মুণ্ড। সেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। রাজ্যের বনদফতর সেটি উদ্ধার করার পরে অসম বনদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার সহযোগিতা নিয়ে তদন্তও শুরু করেছিল। বনদফতরের প্রাথমিক ধারণা ছিল দাঁত পাচারের জন্য অসমের চোরাকারবারীরা হয়তো মেরে থাকতে পারে হাতিটিকে। তারপরেই প্রাণীটির মাথা ভেসে এসেছিল নদীতে। প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ করা হচ্ছে, অসম থেকেই নদীতে ভেসে এসেছে দেহটি। নদীতে এবং বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল এলাকায় হাতির বাকি দেহাংশের খোঁজ চালালেও ধরা পড়েনি কিছুই। সেই তদন্ত চলার মাঝেই আজ সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় জেলেদের চোখে ধরা পড়ে নদীতে ভাসছে হাতির পা। এরপর স্থানীয় জেলে এবং বনকর্মীদের সাহায্যে ওই দেহাংশ উদ্ধার করে আনা হয়। খোঁজ চলছে বাকি দেহাংশের। 


বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর অপূর্ব সেন বলেন, 'পায়ের অংশটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।' গোটা ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই কাটা পায়ের অংশ আগের দিন যে হাতিটির মাথা পাওয়া গিয়েছিল সেটিরই কিনা, নাকি এটি অন্য কোনও হাতির সেই উত্তরের খোঁজ চলছে এখন। এর উপরেই নির্ভর করছে তদন্তের বাকি গতিপ্রকৃতি। এখন প্রশ্ন, যদি অসম থেকেই ভেসে আসে বাতির দেহাংশ। তাহলে ঠিক কোন জায়গায় এই কাজটি করেছে চোরাকারবারীরা। দাঁত নেওয়ার জন্য হাতি মেরে থাকলেও কেন এভাবে দেহাংশ কাটা হল এবং কীভাবে কাটা হল, সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছে বনবিভাগ।


হাতির দাঁতের উপর যে চোরাচালানকারীদের বড় অংশের নজর থাকে, তা কোনও অজানা ঘটনা নয়। মাঝেমধ্যে এই ধরনের সামগ্রী উদ্ধার হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে এই রাজ্যে। যেমন, সাড়ে তিন বছর আগে মালবাজারে একটি ঘটনা ঘটে। সে বারের ঘটনায় হাতির দাঁতের পাশাপাশি গন্ডারের শিং-ও উদ্ধার হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মূল্য ছিল প্রায় ১ কোটি টাকা। 


আরও পড়ুন: সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা, দোসর ঘূর্ণাবর্ত, আগামী কয়েকদিন রাজ্যজুড়ে চলবে বৃষ্টি