অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: দোল পূর্ণিমায় বিশেষ উদ্যোগ বক্সায় (Buxa)। বন্য প্রাণী শিকার রোধে জঙ্গলের নিরাপত্তায় কড়া প্রহরার ব্যবস্থা করল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প (Buxa Tiger Reserve)। টহলদারির সঙ্গে স্নিফার ডগ নিয়ে জঙ্গল পথে চলছে তল্লাশি। পাশাপাশি জঙ্গল সংলগ্ন বসতির বাসিন্দাদের নিয়েও চলছে সচেতনতা প্রচার।


দোল পূর্ণিমাতেই এমন বিশেষ উদ্যোগ কেন? দোলের সময়, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ রীতি অনুযায়ী জঙ্গলে শিকার করতে যান। আধুনিক সমাজে শিকারের প্রচলন অনেকটাই কমে আসলেও এখনও বনের প্রাণী শিকার করে খাওয়া যে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়েছে তা বলা যায় না। এখনও স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর একটা অংশ অস্ত্র নিয়ে লুকিয়ে চুরিয়ে জঙ্গলে শিকারে যান। জঙ্গলে ঢুকে তাঁরা মূলত খরগোশ, বুনো মুরগি, হরিণ, বাইসন, বুনো শুয়োর সহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীদের শিকার করে উৎসব পালন করেন।


শুধু তাইই নয়। আদিবাসীদের এই রীতির ভরপুর সুযোগ নেয় চোরাশিকারীরা। এই সময়ে স্থানীয়দের কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন জঙ্গলে চোরাশিকারীদের গতিবিধিও বেড়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই কারণেই বন্য প্রাণী শিকার রোধে এবার তৎপর হয়েছে বন দফতর। একদিকে যেমন জঙ্গলের টহলদারি বাড়ানো হয়েছে, তেমনই জঙ্গল পথের গাড়িতে স্নিফার ডগ নিয়ে শুরু করা হয়েছে তল্লাশি। পাশাপাশি জঙ্গল সংলগ্ন বিভিন্ন বনবস্তিবাসীদের এলাকায় সচেতনতার বার্তা দিতে শুরু করেছে বন দফতর। 


বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা পরভিন কাসোয়ান বলেন, 'সব সময়ই আমাদের নজরদারি চলে, সতর্কতা বজায় থাকে। তবে দোল উৎসবকে সামনে রেখে আশেপাশের চা বাগান এবং বনবস্তির বাসিন্দাদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ হচ্ছে। পাশাপাশি বন দফতরের ওয়াল্ড-লাইফ স্কোয়াডের ১০থেকে ১২টি দল টহলদারির কাজ শুরু করেছে। দুইটি স্নিফার ডগকেও তল্লাশির কাজে লাগানো হচ্ছে।' আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত সর্বক্ষণ সমস্ত শক্তি দিয়ে জঙ্গলকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করা হবে বলে দাবি করেন বক্সার উপক্ষেত্র অধিকর্তা।


আরও পড়ুন: Hooghly News: দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ডেঙ্গি দমন অভিযানে কোন্নগর পৌরসভার চেয়ারম্যান