অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: উত্তরবঙ্গ (North Bengal) থেকে সম্প্রতি বিভিন্ন প্রাণীর দেহাংশ পাচারের ছক বানচাল করে দিয়েছে বন দফতর (Forest Department) ও পুলিশ (Cops)। এবার পুলিশের নাকা চেকিংয়ের (Naka checking) সময় ট্রাক থেকে উদ্ধার হল খাঁচাবন্দি ক্যাঙারু (Kangaroo)। চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হায়দরাবাদের (Hyderabad) বাসিন্দা চালকসহ দুই। 


পুলিশ সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলায় অসম-বাংলা সীমান্তে (Assam-WestBengal Border) কুমারগ্রাম থানার অন্তর্গত বারোবিশা পুলিশ ফাঁড়ির পাকড়িগুড়ি এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে গতকাল সন্ধেবেলা চলছিল পুলিশের নাকা চেকিং। সেই সময় একটি ছোট ট্রাক দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ফাঁকা সেই ট্রাকের পিছনে ত্রিপল দিয়ে মোড়া খাঁচাবন্দি অবস্থায় একটি ক্যাঙারু দেখতে পান কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। খাঁচাবন্দি ক্যাঙারুটি উদ্ধার করে ট্রাক চালক সহ হায়দরাবাদের দুই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


পুলিশ সূত্রে খবর, সম্ভবত মায়ানমার থেকে গুয়াহাটি হয়ে ক্যাঙারুটি হায়দরাবাদে পাচার হচ্ছিল। ধৃতদের বিরুদ্ধে ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদের আলিপুরদুয়ার আদালতে পেশ করা হচ্ছে। ক্যাঙারুটি কীভাবে এল এবং এই চক্রের পিছনে কারা রয়েছে, সে সব বিষয় নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে কুমারগ্রাম থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন বক্সায় পর্যটকদের জঙ্গলে রাত কাটানোয় নিষেধাজ্ঞা বন দফতরের


শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার ঘোষপুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় চিতাবাঘের চামড়া ও নখ। পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি বাইক আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে বাইকে থাকা দুই ব্যাক্তির কাছ থেকে একটি চিতাবাঘের চামড়া ও নখ উদ্ধার করা হয়। পরে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় আরও একজনের নাম। তাকেও এদিন গ্রেফতার করা হয়।


বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এই চিতাবাঘটি শিকার করে ধৃতরা। এরপর তারা সবাই মিলে বাঘের মাংস খাওয়ার পাশাপাশি চামড়া ছাড়িয়ে নেয়। এরপর চিতাবাঘটির চামড়া ও নখ গোপনে নেপালে বিক্রি করার মতলব ছিল তাদের। তবে তার আগেই তারা ধরা পড়ে গেল। ধৃত তিনজনকে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশের হাত তুলে দেওয়া হয়েছে।