অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: বাঘ সংরক্ষণের কারণে জঙ্গলে পর্যটকদের রাত কাটানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি বন দফতরের পক্ষ থেকে। যার জেরে ক্ষোভে ফুসছে জয়ন্তী বাসিরা। জানাযায়, গত ৮- ফেব্রুয়ারি বক্সা টাইগার রিজার্ভের ক্ষেত্র অধিকর্তা দ্বারা একটি নোটিশ জারি করা হয়। যাতে বলা হয়, বাঘ সংরক্ষণ পরিকল্পনা ২০১৬-১৭ থেকে ২০২৬-২৭ পর্যন্ত এবং গ্রিন ট্রাইবুনালে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের এপিডাভিট অনুসারে পর্যটকদের রাজাভাতখাওয়া গেট দ্বারা প্রবেশ এবং বের হওয়ার সময়সীমা সকাল ৬ টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত করা হয়। 


যার জেরে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত পর্যটন কেন্দ্র যেমন, বক্সা পাহাড়, জয়ন্তী, ২৮ বস্তি, ভুটিয়া বস্তি সহ বহু জায়গায় পর্যটকদের রাত্রী যাপন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বক্সা-জয়ন্তীর পর্যটন আজ অনিশ্চয়তার মাঝে। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে জয়ন্তী বাসিসহ পর্যটক ব্যবসায়ীরা। একদিকে কোভিড পরিস্থিতিতে লক-ডাউনের জেড়ে বিগত প্রায় আড়াই বছড় ধরে ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তারপর বন দফতরের এই স্বিদ্ধান্ত ক্ষোভে ফুঁসছেন তারা। 


উল্লেখ্য, গত ১১-ই ডিসেম্বর প্রায় ২৮ বছর পর বক্সায় সরাসরি বাঘের উপস্থিতির ছবি প্রকাশ্যে আসে। বন দফতরের ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই ছবি। তারপর থেকেই বন দফতর দ্বারা বক্সার জঙ্গলে বাঘের পরিবেশ সংক্রান্ত তৎপরতা দেখা যায়। 


বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা বুদ্ধরাজ শেওয়া জানান, টাইগার কনজারভেশন প্ল্যান তে হোম স্টে জোন নির্ধারন করাই রয়েছে। ফলে ২০১৭ সালের নির্দেশে কোর এলাকায় নোটিশ দিয়ে হোম স্টে নিষিদ্ধ করাও হয়েছে। কিন্তু তবুও সেখানে নির্মান চলছে। জয়ন্তীর সেই কোর এলাকার মধ্যেই পড়ে। সেদিক থেকে জয়ন্তীতে হোম স্টে বে আইনি। বারংবার নোটিশ দেওয়াও হচ্ছিল। তবুও হোম স্টে নয়, হোটেল চলছিল।  যা ঠিক নয় বলে দাবি বক্সা ক্ষেত্র অধিকর্তার। ফলে সেখানে পর্যটকদের রাত্রি যাপন নিষিদ্ধ করতেই হবে দাবী তাঁর। ফলে, বন দফতরের নিয়মের পর্যটন শিল্প ফের মন্দা হওয়ার মুখে। 


আরও পড়ুন: শারীরিক সম্পর্কের পর টাকা চেয়ে ব্ল্যাকমেল, সালকিয়ায় আত্মঘাতী যুবক, গ্রেফতার ১ মহিলা