অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার:  নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে আলিপুরদুয়ার পুরসভা নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে শাসকদলের চিন্তা বাড়িয়েছে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দল বিজেপি।


পুরভোটের কথা মাথায় রেখে এবার আলিপুরদুয়ারে কর্মিসভায় হুঁশিয়ারি তৃণমূলের। নেতৃত্বের কথাতেই পরিষ্কার, বিরোধী বিজেপি নয়, মাথা ব্যথার কারণ দলে অন্তর্ঘাত।এই মুহূর্তে কলকাতা, হাওড়া-সহ রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোট বকেয়া রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে আলিপুরদুয়ার পুরসভাও। 


আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনটি বর্তমানে বিজেপির দখলে। ২০১৯-এর নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখেও ২০টি ওয়ার্ডের ১৮টিতেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। 


নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি, হাওড়ায় ভাঙন-বিপর্যস্ত জীবন


এই অবস্থায় আলিপুরদুয়ার পুরসভায় জিততে মরিয়া রাজ্যের শাসকদল। ইতিমধ্যেই বুথ ধরে ধরে কর্মিসভা শুরু করেছে তৃণমূল। চলছে যোগদানপর্বও। কিন্তু শাসকদলের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা। আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল কংগ্রেস টাউন সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, গদ্দারদের রেয়াত করা হবে না। চিহ্নিত করাই চ্যালেঞ্জ। প্রচুর মানুষ আমাদের দল করেছে। সুযোগ নিয়েছে। কিন্তু ভোটের সময় বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। যার ফলে বিজেপির সংগঠন না থাকা সত্ত্বেও তারা ভোট পাচ্ছে। জিতছে। এবার আমরা জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।


কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ  আদালতের


এই প্রেক্ষিতে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেছেন, ওদের মধ্যে বেনোজল ঢুকেছে, না ভূত ঢুকেছে সেটা ওরাই বলতে পারবে। মানুষকে মানুষ মনে করে না। সম্মান দেয় না। বিরোধী শূন্য করার প্রবণতা। ২০১৮-র নির্বাচন থেকেই গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে।


এখনও পুরভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি। কিন্তু তার আগে থেকেই উত্তরবঙ্গের এই পুরসভা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তত্পরতা।