অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রায়শই খবর আসে হাতির হামলার কথা (Elephant)। চাষের জমি ক্ষয়ক্ষতিতে ঘুম ওড়ে গরীব কৃষকদের। অনেকসময় আবার উল্টোটাও হয়। চোরশিকারীদের হাতে পড়ে প্রাণ হারাতে হয় দাঁতালদের। তবে এবার মানবিকদিকটাই ফের দেখা মিলল। বন দফতরের দৌলতে সুস্থ হল আহত হাতি।
আহত দাঁতালের পায়ের ক্ষত সারাল বন দফতর
ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করে, দাঁতাল হাতির পায়ের ক্ষত চিকিৎসা করিয়ে, সুস্থ করল বক্সা বন দফতর। হাতিটিকে রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। বনদফতর সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের( বিটিআর) পশ্চিম বিভাগের জঙ্গলে একটি দাঁতাল হাতিকে আহত অবস্থায় দেখা যায়। প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সি হাতিটির সামনের ডান পায়ে ক্ষত লক্ষ করেন বনকর্মীরা। ফলে, বনকর্মীদের দ্বারা হাতিটির প্রতি নজর রাখা হচ্ছিল বলে জানা যায়। সেইসূত্রে, আজ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের প্রাণী চিকিৎসকের দল এবং ট্রাইঙ্গুলাইজ দল হাতিটির চিকিৎসার উদ্দেশ্যে কর্মসূচী শুরু করে।
প্রায় ১ ঘন্টার চিকিৎসার পর বর্তমানে হাতিটি অনেকটাই সুস্থ
জানা যায়, বিটিআর-এর ২৩ মাইলের গভীর জঙ্গলে হাতিটিকে ঘুম পাড়ানি গুলিতে কাবু করে ট্রাঙ্গুলাইজ দল। সেখানেই দাঁড়িয়ে যায় হাতিটি। বন দফতর সূত্রে দাবি, দেখা যায় তার সামনের ডান পায়ের নখ ক্ষয়ে যাওয়ায় সেখানে সংক্রমন হতে শুরু করেছিল। ফলে হাতিটির হাটতে সমস্যা হচ্ছিল। এরপর, বনদপ্তরের প্রানী চিকিৎসক ডা: লিটন পালের নেতৃত্বে শুরু হয় চিকিৎসা। ক্ষত পরিষ্কার করার পর ড্রেসিং করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিকসহ অন্যান্ন ওষুধ প্রদান করাহয় বলে বনদপ্তরসূত্রে খবর। প্রায় ১ ঘন্টার চিকিৎসার পর বর্তমানে হাতিটি অনেকটাই সুস্থ বলে দাবি বন দফতরের।
আরও পড়ুন, অমাবস্যার নিশীথে প্রাণ প্রতিষ্ঠা, বামাকালী পুজো এই পাহাড় ঘেরা গ্রামে
চিকিৎসার পর সাউথ রায়ডাক রেঞ্জের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে দাঁতালকে
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প পশ্চিমের উপক্ষেত্র অধিকর্তা পারভীন কাসওয়ান জানান (গ্রাফিক্স), চিকিৎসার পর হাতিটির হুঁশ এসেছে। এখন অনেকটাই স্বাভাবিক তার চলন। হাতিটিকে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে।উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার একইভাবে বছড় ৪০-এর মাকনা হাতির সামনের ডান পায়ের হাটুর চিকিৎসা করা হয়। তারপর বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বিভাগের অন্তর্গত সাউথ রায়ডাক রেঞ্জের জঙ্গলে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে দাবি।