অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার : রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের দেওয়া হয়েছে ভ্যাকসিনের টোকেন। বিজেপির এই অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের ঘাগড়া বিএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এর জেরে তরজা শুরু হয় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। ঘটনাস্থলে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ পৌঁছায়। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
জানা গেছে, এদিন সকাল থেকে বঞ্চুকামারি গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘাগড়া বিএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়। সেইমতো ঘাগড়া বিএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভ্যাকসিন নিতে সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন এলাকার প্রচুর মানুষ। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়ানোর পর তাঁরা জানতে পারেন, টোকেন ছাড়া এই কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। সেই শুনেই বিক্ষোভ শুরু হয়।
অভিযোগ, শাসক দলের পক্ষ থেকে এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভ্যাকসিনের টোকেন বিলি করা হয়েছে। যাদের কাছে টোকেন রয়েছে তাদেরকেই একমাত্র ওই কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ফলে, দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও ফিরে যেতে হয় এলাকার প্রচুর মানুষকে। বিজেপির অভিযোগ, শাসক দল রাতের অন্ধকারে শুধুমাত্র তৃণমূল সমর্থকদের ভ্যাকসিনের টোকেন বিলি করেছে। ফলে ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এলাকার প্রচুর মানুষ।
এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এলাকার প্রচুর মানুষ। শুরু হয় তৃণমূল-বিজেপি তরজা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এদিকে আজ জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ি ব্লকের দুরামারি বাজারে ভ্যাকসিন নিতে এসে জখম হন একাধিক জন। ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য ভোররাত থেকে স্কুলগেটের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রচুর সংখ্যক মানুষ। এর পর যখন স্কুলগেট খুলে দেওয়া হয়, তখন মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। একে অপরকে ঠেলাঠেলিতে পড়ে যান বেশ কয়েকজন। তাতে জখমও হন অনেকে। তাঁদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রথমে পাঠানো হয় দুরামারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বেশ কয়েক জনকে পাঠানো হয় ধুপগুড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এছাড়া বাকিদের পাঠানো হয় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। বেশ কয়েকজন গুরুতর চোট পেয়েছেন।