অরিন্দম সেন, ফালাকাটা: আলিপুরদুয়ার জেলার দুই পুরসভা ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ারে কবে ভোট হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও ঘোষণা করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তার আগেই ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ারে পুরসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ধরে সর্বদলীয় বৈঠকে আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি জারির আগেই আলিপুরদয়ারে পুরভোটের সম্ভাব্য দিনক্ষণ প্রকাশ্যে আসা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এ বিষয়ে সরব বিরোধীরা। পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
শনিবার আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসকের দফতরে এই সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটা পুরসভা ভোটের সম্ভাব্য তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ধরেই হয় এই বৈঠক। এমনই দাবি মহকুমা শাসকের।
এই বৈঠক শেষে মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার সাংবাদিকদের জানান, ‘আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে মনোনয়ন পেশ। ১০ ফেব্রুয়ারি হবে মনোনয়ন পরীক্ষা। ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর তিনটে পর্যন্ত মনোয়ন প্রত্যাহার করা যাবে। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা হবে পূর্ণাঙ্গ প্রার্থীতালিকা। আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটা, এই দুই পুরসভা নির্বাচনের ডিসি-আরসি এবং কাউন্টিং হবে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়েই।’
মহকুমা শাসক আরও জানিয়েছেন, ‘আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের ৬৮টি বুথে ভোটার সংখ্যা ৫৬,৩৭৪। ফালাকাটা পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে মোট ৫৭টি বুথে ভোটার সংখ্যা ৪৪,৯৪৯।’
এই দুই পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রার্থী সংরক্ষণ তালিকাও ঘোষণা করেন মহকুমা শাসক। যা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, ‘ভোটের প্রস্তুতি হিসেবে সর্বদল বৈঠক হতেই পারে। কিন্তু ‘সম্ভাব্য’ শব্দ ব্যবহার করে একজন আধিকারিক কী করে নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি জারির আগেই সব তথ্য প্রকাশ্যে আনছেন? এটা তিনি কোনওভাবেই করতে পারেন না। তাহলে কি শাসক দলের সাথে বোঝাপড়ার মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার চেষ্টা করছেন?’
যদিও বিরোধীদের এই অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা তৃণমুল কংগ্রেস। আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদারের দাবি, ‘বিরোধীদের কাজই হল সমালোচনা করা। ওরা প্রার্থীই খুজে পাচ্ছে না, তাই প্রশাসনের সমালোচনায় মেতেছে।’