করুণাময় সিংহ, মালদা: খেলতে খেলতেই মর্মান্তিক পরিণতি। খেলার সময়ে ইটভাটার জলের চৌবাচ্চায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল দুই শিশুর।  জানা গিয়েছে, বিহার থেকে পুরাতন মালদায় (Malda) শ্রমিকের কাজে এসেছিল ওই দুই শিশুর বাবা করণ তাঁতি ও মা কিরণদেবী।  বিহারের (Bihar) ভাগলপুরে (Bhagalpur) বাড়ি তাঁদের।


২ ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে দম্পতি মাস তিনেক আগে পুরাতন মালদার (Malda) নলডুবি এলাকায় ইটভাটার শ্রমিকের কাজে আসেন। অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও ওই দম্পতি কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সন্ধে হয়ে গেলেও ছেলেদের না দেখতে পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন বাবা, মা। 


বেশ কিছুক্ষণ পরে চৌবাচ্চার মধ্যে থেকে ২ সন্তানকে খুঁজে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসাপতালে (Malda Medical College And Hospital) নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত ২ সন্তানের নাম ঋত্মিক তাঁতি (‌৬)‌ ও রোশন তাঁতি (‌৫)‌। পরে তাদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ছেলেদের হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ পরিবার।


সম্প্রতি খেলতে গিয়ে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়! মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Malda Medical College Hospital), ৬ তলার সিড়ির রেলিং থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ৮ বছরের বালকের। হাসপাতালের মধ্যে কীভাবে ঘটে এরকম ঘটনা? উঠছে প্রশ্ন।


অসুস্থ বলে, ছোট ছেলেকে সবসময় নজরে রাখতেন বাবা-মা! এদিন ছেলেকে সঙ্গে করে, নিজের দোকানে নিয়ে এসেছিলেন বাবা! কিন্তু, তারপরও হাসপাতালেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ছ’তলা থেকে আছড়ে পড়ে, মৃত্যু হল আট বছরের বালকের। 


মৃত বালকের নাম হর্ষিত সিং। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বাইরেই হর্ষিতের বাবার খাবারের দোকান। সেখানে বাবার সঙ্গেই ছিল সে। কিন্তু হঠাৎ সবার নজর এড়িয়ে হাসপাতালে ঢুকে পড়ে সে। ছ’তলায় উঠে, সিঁড়ির এই রেলিং ধরে খেলা করছিল সে। 


তখনই ঘটে বিপত্তি। ৬ তলা থেকে সোজা তিন তলায় পড়ে যায় বালকটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।  মৃত বালকের বাবা বলবীর সিংহের কথায়, ছেলে অসুস্থ বলে ওকে চোখের সামনেই রাখতাম। আজ দোকানের সামনে থেকে খোলার সময় আমার ছেলে নজর এ ড়িয়ে আউটডোরের ছয় তলা বিল্ডিং এ উঠে যায়। এরপর সেখান থেকেই পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় ছেলের।