অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ারঃ রবিবার আলিপুরদুয়ার-১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে নতুন জেলা কমিটিসহ বিভিন্ন পদাধিকারিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল। প্রায় জনসভায় পরিণত হওয়া এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই জেলা নেতৃত্বকে দলে যোগদান প্রক্রিয়া নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন তৃনমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার-১ নং ব্লক সভাপতি মনোরঞ্জন দে। তিনি জানান, বিধানসভা ভোটের পর বহু মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছে এবং আগামীতেও বহু মানুষ যোগদান করার জন্য মুখিয়ে আছে। তবে যে বিজেপি নেতারা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এলাকায় দাঙ্গা করেছে, খুন করেছে, মুখ্যমন্ত্রীকে কুৎসা করেছেন তাঁরা যেন জেলা কার্যালয়ে গিয়ে যোগদান করতে না পারে। যোগদানের ক্ষেত্রে এলাকার বুথ, অঞ্চল কমিটি এবং ব্লক কমিটিকে জানাতে হবে বলে মঞ্চে উপস্থিত জেলা নেতৃত্বকে বার্তা দেন ব্লক সভাপতি মনোরঞ্জন দে। একই ভাবে ব্লক সভাপতি মনোরঞ্জনের বক্তব্যের রেশ টেনে এসজেওডিএ চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, 'আমাদের মধ্যে মতাভেদ থাকতে পারে। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়ব আমরাই।  বিজেপিকে কোনও সুযোগ দেবো না, যে যতই ছলচাতুরি করুক। বুথ, অঞ্চল, ব্লক সভাপতিকে বাদ দিয়ে কোনো যোগদান করা উচিত নয় বলেও জেলা কমিটির কাছে আবেদন রাখেন সৌরভও। 


বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে পালাবদলের ভাবনায় বহু তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাসহ সাধারণ কর্মীরা যোগদান করে বিজেপিতে। কিন্তু রাজ্যে তৃণমূলই শাষকদলে থাকায় তাঁদের অনেকেই আবার ফিরে আসার চেষ্টায়। এমনকী আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতিও কলকাতার তৃণমূল ভবনে যোগদান করে তৃনমূলে। এই অবস্থায় সাধারন বহু বিজেপি কর্মী জেলা কমিটির হাত ধরে যোগদানও করছে বলে অভিযোগ। আরও অনেকেই চেষ্টায় যোগদানের। এই অবস্থায় অস্তিত্বের সংকটে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বার্তা দিলেন জেলা নেতৃত্বকে।  


যদিও বুথ, অঞ্চল, ব্লক সভাপতিকে জানিয়েই যোগদানের নির্দেশ বলে জানান তৃনমূল কং জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক। যা কখনওই ভাঙা হয়নি বলে দাবী তাঁর। রাজ্যের এই নির্দেশের বাইরে যোগদান হবেওনা  বলে আশ্বাস দেন তিনি।