অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার : গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু ঘিরে তুমুল উত্তেজনা আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা হাসপাতালে (Hospital)। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির (Negligence in Treatment) জেরে ঘটেছে মৃত্যু। শিশুর মৃত্যুর (Child Death) জন্য হাসপাতালের চিকিৎসা গাফিলতি-ই দায়ী অভিযোগ তুলে অভিযোগকারীর পরিবারের তরফে হাসপাতালে চত্বরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। গোটা পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে পুলিশ বাহিনীকে (Police) গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। যদিও গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মন বলেছেন, একটা গন্ডগোল হয়েছে শুনেছি, কিন্তু এখনও লিখিত কোনও অভিযোগ আসেনি। যদিও অভিযোগের প্রক্রিয়া চলছে বলে পরিবারসূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, গত ২০ ডিসেম্বর রাতে প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ভোলারবেড়ি এলাকার বাসিন্দা অনিমা সূত্রধরকে। পরিবারের তরফে অভিযোগ, সিজার করা হবে জানিয়ে সোমবার সারাদিন তাঁকে খেতে দেওয়া হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। প্রায় ১২ ঘণ্টা কোনও চিকিৎসক এসে প্রসূতির শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখেননি বলেও অভিযোগ। পরে চিকিৎসক এসে গর্ভস্থ শিশু-র শারীরিক অবস্থা ভাল বলেও তাঁকে জানানো হয় বলেই জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে। চিকিৎসক দেখে যাওয়ার পরে তবেই প্রসূতিকে খেয়ে দেওয়া হয় বলেও জানায় পরিবার।
যদিও তাদের অভিযোগ, সোমবারও কার্যত একই রকমের ঘটনাক্রমের পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে। সেদিন একাধিক শারীরিক সমস্যা বোধ করে কর্তব্যরত নার্সদের একাধিকবার ডেকেও সাড়া পাওয়া যায়নি বলেই পরিবারের অভিযোগ। একসময় গর্ভস্থ সন্তানটির নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে ওই মহিলা সন্দেহ করার পর পরিবারকে খোঁজ দেন। যার পর তাদের জোরাজুরিতেই আলটাসনোগ্রাফি করার পর গর্ভস্থ সন্তান মৃত বলে তাদের জানানো হয় বলেই অভিযোগ পরিবারের। গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে জানার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে মহিলার পরিবারের লোকজন। পুলিশ তখনকার মতো পরিস্থিতি সামলালেও আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের ঘটনায় পরিস্থিতি যথেষ্ট থমথমে।
আরও পড়ুন- বাঁ হাত অপারেশন করাতে গিয়ে কাটা গেল ডান হাত, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ রেলকর্মীর