অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: পরিবারসহ জ্বালানির জন্য কাঠ আনতে জঙ্গলে গিয়েছিলেন। জঙ্গলের নির্জন এলাকা থেকে গলার নলি কাটা অবস্থায় এবং শরীরের নিম্নাংশ বিবস্ত্র অবস্থায় এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করল মাদারিহাট থানার পুলিশ। ধর্ষন করে খুন নাকি বন্য জন্তুর আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারিহাট থানার অন্তর্গত জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মাদারিহাট রেঞ্জের উত্তর খয়েরবাড়ি জঙ্গলে।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদারিহাট থানার হাজিপাড়ার বাসিন্দা রীনা মুন্ডা সোমবার বেলার দিকে পরিবারের সকলের সঙ্গে কাঠ কুড়োতে যান। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানাচ্ছে, মৃত ওই মহিলার বয়স আনুমানিক ২১ বছর। এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ তিনি তাঁর স্বামী রাজেশ মুন্ডা এবং পরিবারের সকলের সঙ্গে কাঠ কুড়োতে যান। মৃতার স্বামী রাজেশ মুন্ডার দাবি, সেই সময় বন দফতরের দুই মহিলা কর্মী এবং একজন পুরুষ কর্মীর নজরে তাঁরা। পড়েন। বন দফতরের কর্মীদের নজরে পড়তেই তাঁরা যে যার মতো ভয়ে পেয়ে এদিক ওদিক পালিয়ে যান। বন দফতরের কর্মীদের হাতে ওই ব্যক্তির বাবা ধরা পড়েন। পরে যদিও তাঁকে ছেড়ে দেন বনকর্মীরা। এরপরই তাঁরা রীনা মুন্ডাকে দেখতে না পেয়ে তাঁর খোঁজ শুরু করেন। জঙ্গলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রীনা মুন্ডাপ খোঁজ তাঁরা পাননি। আরও কিছুক্ষণ খোঁজার পর বেলা তিনটে নাগাদ রীনার রক্তাক্ত দেহ তাঁরা উদ্ধার করেন।


আরও পড়ুন - Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে পুরভোটের সম্ভাব্য দিনক্ষণ ধরে সর্বদল বৈঠক, মহকুমা শাসকের সমালোচনায় বিরোধীরা


পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানা যাচ্ছে, জঙ্গলের নির্জন জায়গা থেকে রীনা মুন্ডার বিভৎস মৃতদেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। মৃতার গলার নলি কাটা অবস্থায় ছিল। এছাড়ও, মৃতার শরীরের নিম্নাংশে কোনও পোশাক ছিল না। পোশাক ছিল মাথার কাছে। ইতিমধ্যেই মৃতার স্বামী রাজেশ মুন্ডাকে গ্রেফতার করেছে মাদারিহাট থানার পুলিশ। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে এই মৃত্যু, তা জানার জন্য তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। জঙ্গলে কোনও হিংস্র জন্তুর সঙ্গে লড়াইতে মৃত্যু নাকি ধর্ষণ করে ওই মহিলাকে হত্যা করা হয়েছে, তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় পরিবারের কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রধুবংশী জানিয়েছেন, ঘটনার সমস্ত বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তার জন্য মৃতার স্বামীকে তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।