পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: শুক্রবার কামারহাটির (Kamarhati) সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালালরাজের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। করেছিলেন বিস্ফোরক অভিযোগ। এবার এনআরএস হাসপাতালে (NRS Hospital) দালালচক্রের পর্দাফাঁস হল। দুই দালালকে গ্রেফতার করল লালবাজারের (Lalbazar) গুন্ডাদমন শাখা। এবার এনআরএস-এর পর এবার SSKM হাসপাতাল থেকে ৪ দালালকে গ্রেফতার করল লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার পুলিশ।
আজই সকালে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে পাকড়াও হয় ৪ দালাল। লালবাজারে গুন্ডাদমন শাখার অভিযানে পাকড়াও করা হয় তাদের। ভবানীপুরের বাসিন্দা এই যুবকদের পাকড়াও করে পুলিশ। টাকা নিয়ে এসএসকেএমে ভর্তি চক্র চালাত ধৃতরা, এমনটাই অভিযোগ পুলিশের। ধৃতদের নাম অভিষেক মল্লিক, দেব মল্লিক, অভয় বাল্মীকি ও সুরিন্দর কুমার, চারজনই ভবানীপুরের বাসিন্দা।
পুলিশের দাবি, টাকা নিয়ে এসএসকেএমে অ্যাডমিশন র্যাকেট চালাত ধৃতরা। শুক্রবার কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় দালালরাজ নিয়ে সরব হন মদন মিত্র। শনিবার থেকেই কলকাতার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে অভিযানে নামে পুলিশ।
সম্প্রতি সরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তিতে, দালালচক্রের রমরমা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন খোদ তৃণমূলেরই বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী। এরপরই কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলিতে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখা। SSKM, NRS-সহ একাধিক হাসপাতালে সাদা পোশাকে পৌঁছে যান পুলিশকর্মীরা।
আরও পড়ুন, সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেতন চুরির অভিযোগ, গ্রেফতার পুলিশ কর্মী
এর আগে অভিযান চলাকালীন শনিবার সন্ধেয়, হাসপাতাল চত্বর থেকেই হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় ২ জন দালালকে। ধৃতদের মধ্যে একজন নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা গৌতম সরকার। আরেকজন নারকেলডাঙার ক্যানাল ওয়েস্ট রোডের বাসিন্দা বিলাস সিং ওরফে বান্টি। মূলত, দূর-দূরান্তের জেলা থেকে আসা মুমূর্ষু রোগীরাই ছিল এদের 'টার্গেট'।
বহরমপুর থেকে আসা রোগীর পরিবারের অভিযোগ, এনআরএসে তাঁদের রোগীকে ভর্তি করাতে গিয়ে গুনতে হয়েছে ২ হাজার টাকা। প্রথমে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে ভর্তি করাতে ১৫ হাজার টাকা চায় দালালরা। কিন্তু, ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না বহরমপুর থেকে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসা ওই রোগীর পরিবারের। অবশেষে, দালালদেরকে ২ হাজার টাকা দিয়ে এনআরএসে ভর্তি করাতে হয় টিবি আক্রান্তকে।