অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: সামনে এল, আরও এক কীর্তিমান কনস্টেবলের (Constable) কীর্তি! এ যেন সর্ষের মধ্যেই ভূত। বীরভূমের (Birbhum) পর আলিপুরদুয়ার (Alipurduar), খোঁজ মিলল আরও এক কীর্তিমান কনস্টেবলের সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) বেতন চুরির অভিযোগে এক পুলিশ কর্মী গ্রেফতার। খোদ এসপি-র অফিসে বসেই অ্যাবসেন্ট সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রেজেন্ট বলে দেখানোর অভিযোগ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে।
এই কাজ করে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ কনস্টেবল দীপঙ্কর সরকারের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, এসপি অফিসের পে সেকশনে কর্মরত ছিলেন ওই কনস্টেবল। অভিযোগ,গত ৪-৫ বছর ধরে অনুপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপস্থিত দেখাচ্ছেন ওই কনস্টেবল। সেই টাকা কনস্টেবল দীপঙ্কর জমা করেছেন নিজের ও তাঁর আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে। ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও দুর্নীতি দমন আইনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছে?
পুলিশসূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধড়েই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মজুরি প্রদানে অসঙ্গতি লক্ষ করা যায়। যা নিয়ে অভ্যন্তরীণ একটি তদন্তও শুরু করা হয় জেলা পুলিশ সূত্রে। দেখা যায়, অনুপস্থিত থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মজুরি প্রদান করা হয় ভিন্ন অ্যাকাউন্টে। সেইক্ষেত্রে জাল বিল ব্যবহার করা হয়। সমস্ত বে-আইনি এই কাজ করার পর সমস্ত সরকারি অর্থ জেলা পুলিশ বিল্ডিং-এর পে-সেকশনে কর্মরত অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল দীপঙ্কর সরকার নিজের এবং তার আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে জমা করেছেন বলে জানা যায়।
পাশাপাশি পেমেন্ট সফট-ওয়্যারে অ্যাকাউন্টের বিবরণ পরিবর্তন করে এই প্রতারণা করা হয়েছে বলে পুলিশসূত্রে খবর। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানাযায়, প্রায় চার থেকে পাঁচ বছর ধরে এই প্রতারণা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকার প্রতারণা সামনে এসেছে।
জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানান, জেলা পুলিশ দফতরের পে-সেকশনে কর্মরত অভিযুক্ত এই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে চিটিং ও প্রিভেনশন অব কোরাপশন অ্যাক্টের আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, ট্রেন নয়, এটা সেলিব্রেটি! বন্দে ভারতের ভূয়সী প্রশংসায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী