উত্তর ২৪ পরগনা: স্কুলের পর পুরসভায় নিয়োগেও 'দুর্নীতি'র অভিযোগ। এই সময়েই চাকরিপ্রাপকদের পাশে মদন মিত্র। চাকরি যাবে না বলেও আশ্বাস কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের। 


মদন মিত্রের আশ্বাস, সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ, কারও চাকরি যাবে না। 'এটা ১২৫ বছরের পুরসভা, আগে তো চিরকুটে চাকরি হয়েছে', দাবি মদনের। অয়ন শীল-ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীর সঙ্গেও দেখা করলেন মদন মিত্র। 


চাকরি নিয়ে মদনের এমন বক্তব্য নতুন নয়। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মাঝেই সম্প্রতি মদনের একটি বক্তব্য ঘিরে শোরগোল হয়েছিল। একটি ফেসবুক লাইভে তিনি বলেছিলেন,  'আমাদের বহু ছেলে সিপিএম-এর ৩৪ বছরে চাকরি পায়নি। কয়েক কোটি বেকার রেখে সিপিএম চলে গিয়েছিল। বেকার কি চিরকাল বেকার থাকবে? নিয়ম-নীতি মেনে, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায়, যোগ্যতমদের বঞ্চিত না করে যদি তৃণমূল কর্মীদের চাকরি দেওয়া হয়, সেটা অন্যায় নয়। আবার চাকরি দেব।' তিনি আরও বলেছিলেন, '২০০২ থেকে ৩৪ বছর ধরে সিপিএম চাকরি দিয়ে এসেছে। দিল্লিতে বিজেপি একতরফা করে যাচ্ছে। আর তৃণমূলের কর্মীরা চাকরি পাবেন না! আমি সুযোগ পেলে আবার তৃণমূলকর্মীদের চাকরি দেব।'


সাবিনারও এক সুর:
একই সুরে কথা বলেছেন উত্তরবঙ্গ (North Bengal) উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ও মালদার (Malda) মোথাবাড়ির তৃণমূল বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন। তৃণমূল কর্মীদেরই চাকরি দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। সাবিনা বলেছিলেন,  'যে সকাল-সন্ধে তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ করছে, আমরা একশোবার তাঁদেরকে আমাদের সাধ্যমত চাকরি দেওয়ার চেষ্টা করব, তবে নিশ্চয়ই মেধাকে বাদ দিয়ে নয়। যেমন আমরা বছরে হয়তো তিনটে করে চাকরি পাচ্ছি, তো আমি তিনটে চাকরি কি মেধার ভিত্তিতে দেব? কংগ্রেসের লোককে দেব? সিপিএমের লোককে দেব? বিজেপির লোককে দেব? নাকি সেই তিনটে আমরা তৃণমূলের লোককে দেব? যখন আমার প্রায়োরিটি থাকবে বেছে নেওয়ার, তখন তো আমি তৃণমূলের লোককেই দেব।' 


বেশ কিছুদিন আগে ব্রাত্য বসুর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে তাঁকে বক্তব্য রাখার সময় বলতে শোনা গিয়েছিল যে তৃণমূলের চাকরি হবে। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। সেই প্রসঙ্গে এবিপি আনন্দে ব্রাত্য বসু বলেছিলেন যে সেটি একটি কর্মিসভার ভিডিও। তিনি বলেছিলেন, 'চাকরি তো দিয়েছি, তবে মন্ত্রী কোটায়, দাবি শিক্ষামন্ত্রীর> ভাইরাল ভিডিওতে আমি কোনও দফতরের কথা বলিনি...মি আমার দলীয় কর্মীদের চাকরি হওয়ার কথা বলেছিলাম...আমি মন্ত্রীর কোটায় যে চাকরি দেওয়া হয় তার কথা বলেছিলাম। আমি কোটার ন্যায্য় চাকরি তৃণমূলের ছেলেদেরই দেব'। 


আরও পড়ুন: 'পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশ করুন', স্ত্রীর চাকরি-বিতর্কে পাল্টা দাবি সুজনের