কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) হিংসার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়েরের অনুমতি চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের। ১৩ জানুয়ারি থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত একাধিক উস্কানিমূলক মন্তব্যে অশান্তিতে প্ররোচনার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকেই শুভেন্দু রক্ষাকবচ পাওয়ায় পুলিশ পদক্ষেপ করছে না, অভিযোগ করেন মামলাকারী। 'আদালত অনুমতি না দিলে রাজ্য এফআইআর করবে কী করে? এর আগেও একাধিক অভিযোগ এসেছে, আদালতের নির্দেশের কারণেই পদক্ষেপ করা যায়নি'। আদালত অনুমতি দিলে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই, বলে এ প্রসঙ্গে সওয়াল করে রাজ্য (West Bengal)।
'আজ কারও বিরুদ্ধে এফআইআরে নিষেধাজ্ঞা জারি হলে, অপরাধ করলে ১০ বছর পরেও কার্যকর থাকবে? অপরাধের অভিযোগ উঠলে ১০ বছর পরেও পুলিশ এফআইআর করতে পারবে না? সেই ব্যক্তি কি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করতে পারেন?' শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্য়ায়ের। 'যদি কোনও নির্দেশ অন্তঃসারশূন্য হয়, তাহলে সেই নির্দেশ কি বাতিল বা ফিরিয়ে নেওয়া যায় না?' প্রশ্ন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্য়ায়ের। আগামীকাল ফের মামলার শুনানি।
উল্লেখ্য এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে অস্বস্তিতে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। জানানো হয় নন্দীগ্রামের নন্দনায়েকবাড়ে নিজের বুথ ছাড়া অন্য কোথাও যেতে পারবেন না শুভেন্দু অধিকারী। বুথের মধ্যে থাকতে পারবেন না তাঁর কোনও নিরাপত্তারক্ষী। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছিল কাঁথি থানা। এই নোটিসকে শুভেন্দু চ্য়ালেঞ্জ করলেও, সেই নির্দেশ বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে গোটা ভোটপর্বেজুড়েই একাধিক হিংসার ছবি প্রকাশ্যে আসে। ভোট হিংসার আবহেই সংবিধানের ৩৫৫ ধারা নিয়ে তরজার পারদ চড়েছে। সম্প্রতি ফের এ নিয়ে মুখ খোলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং জন বার্লা। ৩৫৫ ইস্য়ুতে বিজেপির উদ্দেশে পাল্টা চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে দেয় তৃণমূলও।
আরও পড়ুন: Panchayat Poll Violence: আক্রান্ত TMC কর্মীদের আর্থিক সাহায্য , '..চাকরিটাও রেডি', বার্তা মমতার
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন