কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) দিনক্ষণ ঘোষণা থেকে শুরু করে মনোনয়ন জমা এবং ভোটের দিন-সহ ভোটের পরেও হিংসাকাণ্ডে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের একাধিক জেলার মধ্যে অন্যতম নন্দীগ্রাম। আর এদিন এসএসকেমএ নন্দীগ্রামে আহত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে গিয়ে আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে নিহতদের পরিবারের জন্যও এদিন বিশেষ ঘোষণা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি এদিন স্পষ্ট করে বললেন, '..চাকরিটাও রেডি হয়ে গেছে।'
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনারা জানেন হিংসাকাণ্ডে ম্যাক্সিমাম আমাদের ছেলেরা মারা গিয়েছে। এবং আমি যেটা দেখতে এসেছিলাম, নন্দীগ্রাম এবং খেঁজুরিতে , যে অত্যাচার করা হয়েছে, বৌ-ছেলে-মেয়ে সমেত বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। বার্ণ ইউনিটে রয়েছে। প্রি পোল ও পোস্ট পোল ভায়োলেন্স বা ইলেকশন ডেটে যারা মারা গিয়েছে, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা করে দিচ্ছি এবং একটা করে চাকরি দিচ্ছি।আর যারা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন , তাঁদের আমরা ৫০ হাজার টাকা করে দিচ্ছি।.. চাকরিটাও রেডি হয়ে গেছে, দিয়ে দেব আমরা।'
অপরদিকে, একইদিনে ছাপ্পাভোটের অভিযোগে রাজপথে প্রতিবাদে নেমেছে বিজেপি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন কলেজ স্কোয়ারের বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, '২১ জুলাই বিডিও অফিস ঘেরাও করবেন বিজেপি কর্মীরা। যেখানে যেখানে ভোট চুরি সেখানেই বিডিও অফিস ঘেরাও করা হবে'। বিজেপির এই মিছিল প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোকে প্রশ্ন করতেই এদিন মমতা বলেন, 'বিজেপির কাজ নেই, শুধু কুৎসা ছড়ানোই কাজ।'
প্রসঙ্গত, এর আগেও আক্রান্তদের মমতার সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে তোপ দেগেছিল গেরুয়া শিবির। প্রকাশ্যে এসেছিল এক বিস্ফোরক অভিযোগ। মূলত শিশুদের জন্য বরাদ্দ মিড ডে মিলের টাকা দিয়েই অন্যখাতে ব্যবহার করা নিয়ে চলতি বছরের শুরুতেই উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন। বগটুইহিংসাকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে মিড ডে মিলের টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে লে দাবি করেছিলেন তিনি। এরপর কেন্দ্রের জয়েন্ট রিভিউ মিশনেও এমনটাই দাবি উঠে এসেছিল।
আরও পড়ুন, 'মমতা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত..TMC-র আরও একটি চুরি ফাঁস করব', হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের জয়েন্ট রিভিউ মিশনের রিপোর্টে রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধে মিড ডে মিলে গরমিলের বিস্ফোরক অভিযোগ তখন তোলা হয়েছিল। এই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, রাজ্য় সরকারকে দেওয়া রিপোর্টে বীরভূমের জেলাশাসক জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের ২১ মার্চের একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য় দিতে ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী, পিএম পোষণের টাকা ব্য়বহার করা হয়েছিল। রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছিল, ২৮ মার্চ রাজ্য় সরকারের সংশ্লিষ্ট খাত থেকে এই টাকা আবার পিএম পোষণ প্রকল্পে ফেরত পাঠানো হয়। যদিও,এর সপক্ষে কোনও তথ্য় দেওয়া হয়নি।