কলকাতা: একাদশ-দ্বাদশে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) রায় বহাল। ওএমআর শিট (0MR Sheet) প্রকাশের নির্দেশ বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ। ২০১৬-র চাকরিরত এবং ওয়েটিং লিস্টে থাকা ব্যক্তিদের OMR শিট প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই রায় বহাল রাখল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশই, এখনই কোনও চাকরি বাতিল করা যাবে না, নির্দেশ আদালতের। 'ওএমআর শিটে কারচুপি থাকা শিক্ষকদের চাকরি বাতিল, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এসএলপি-র ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে', পর্যবেক্ষণে জানালো হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। 'সরকারি চাকরিতে এমন কারচুপির তথ্য জেনে চুপ করে থাকতে পারে না সাংবিধানিক আদালত', পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের।
ববিতা সরকারের মামলায়, একাদশ-দ্বাদশের OMR শিট প্রকাশের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সম্প্রতি, একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের OMR শিট প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত হওয়া ৫ হাজার ৫০০ জন-সহ ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের OMR শিট প্রকাশ করতে হবে। এবার সেই রায়ই ডিভিশন বেঞ্চে বহাল রইল।
২৮ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত OMR শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও, এখনই কোনও চাকরি বাতিল করা যাবে না বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। পর্যবেক্ষণে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, OMR শিটে কারচুপি থাকা শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হবে কি না, তা চাকরি নির্ভর করবে সুপ্রিম কোর্টের মামলা বা SLP-র ওপর। সরকারি চাকরিতে এমন কারচুপির তথ্য জেনে চুপ করে থাকতে পারে না সাংবিধানিক আদালত।
সারদা-নারদা দুর্নীতির পরে যে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন হয়েছে তা হয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। শিক্ষা দফতরের একাধিক স্তরে নিয়োগ নিয়ে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। আদালতের তরফে এই দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। সিবিআই এবং ইডি দুটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই নিয়োগ দুর্নীতি এবং তাতে হওয়া টাকার লেনদেন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক, শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিক গ্রেফতার হয়েছেন। এই দুর্নীতি মামলাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল নগদ এবং সোনা। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়েছে। যতদিন গিয়েছে একাধিক স্তর বেরিয়েছে এই বিপুল বড় দুর্নীতির। চাকরি বাতিলের নির্দেশও হয়েছে। কিন্তু এখনও যোগ্য-মেধাবীরা চাকরি ফিরে পায়নি। আন্দোলনেই কাটছে তাঁদের দিন।
আরও পড়ুন: ফের ভাঙড়ে গুলি! জখম পরাজিত TMC প্রার্থী, অভিযুক্ত ISF