অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: নিকাশি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বরো চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ উঠল কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে। ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যানের অভিযোগ, তাঁকে কিছু জানানোই হয়নি। আর কাউন্সিলরের সাফাই, আমন্ত্রণের বিষয়টি তাঁর এক্তিয়ারে নেই। বিতর্কে আমল দিতে নারাজ মেয়র।


তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলরের ওয়ার্ডে নিকাশি প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠান। কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে সেই প্রকল্পের সূচনা করলেন মেয়র। আর এই অনুষ্ঠানেই অনুপস্থিত রইলেন সংশ্লিষ্ট বরোর চেয়ারম্যান।এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই জল জমে এই ওয়ার্ডের মুকুন্দপুর সহ একাধিক এলাকায়। ওই জল জমার সমস্যা দূর করতে  Kolkata Environmental Improvement Investment Program বা KEIIP পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু করল ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে। তৈরি হবে পাম্পিং স্টেশনও।


বৃহস্পতিবার নিতাইনগর রোডে লালনমঞ্চের কাছে ছিল তার আনুষ্ঠানিক সূচনা। ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে নারকেল ফাটিয়ে প্রকল্পের সূচনা  করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন পুর কমিশনারও। কিন্তু ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড যে ১২ নম্বর বরোর অন্তর্গত, সেই বরো চেয়ারম্যানকেই এলাকার নিকাশি প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি এদিন।


১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা সুশান্ত ঘোষের দাবি, অনুষ্ঠানের বিষয়ে তাঁকে কিছুই জানানো হয়নি! এই অভিযোগ করতে গিয়ে কটাক্ষও ছুড়ে দেন তিনি। সুশান্ত ঘোষ বলেন, “কেউ আমন্ত্রণ জানাননি। কলকাতা পুরসভা একটা পরিবার। সবাই একসঙ্গে কাজ করবে এটাই রীতি। সৌজন্য। আমার ওয়ার্ডে অনেক ভিআইপি কাউন্সিলর আছেন।’’ কাউন্সিলরের সাফাই, আমন্ত্রণের বিষয়ে তাঁর কোনও এক্তিয়ার নেই। গতকাল ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “KEIIP-র অনুষ্ঠান। ওরাই ঠিক করেছিল কাকে ডাকা হবে না হবে। আর ঠিক করে মেয়র সাহেবের অফিস।’’


কিন্তু একটি বরোতে পুরসভার প্রকল্পের সূচনা হল, অথচ বরো চেয়ারম্যান তা জানলেন না কেন? প্রশ্ন উঠেছে। এপ্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমি এনিয়ে কিছু বলব না। KEIIP-র প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম। সহযোগিতা করতে চাইলে আসতেই পারতেন।’’ সুশান্ত ঘোষ যেদিন ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, সেদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন না অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণেই তিনি যেতে পারেননি। এমনটাই জানিয়েছিলেন ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর।


আরও পড়ুন: Cyber Fraud: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও সব টাকা! এবার প্রতারণার শিকার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ অধ্যাপিকা