শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: গ্রেফতারি পরোয়ানা (Arrest Warrant) জারির পর আদালতে আত্মসমর্পণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। তুফানগঞ্জ (Tufangunj) আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা (John Barla)। ২০১৯-এ নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে জন বার্লার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। যদিও ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান জন বার্লা।
প্রসঙ্গত, ১৫ নভেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ জন বার্লার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল তুফানগঞ্জ মহকুমা আদালত। এরপর চার দিনের মাথায়, শনিবার আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করলেন স্মৃতি ইরানির ডেপুটি।
এদিন সকালেই তুফানগঞ্জে চলে আসেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ। প্রথমে যান দলীয় অফিসে। সেখান থেকে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায় ও অন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ পৌঁছন আদালত চত্বরে। আত্মসমর্পণ করে এদিনই জামিন পেয়ে যান তিনি।
যদিও ফেব্রুয়ারি মাসে ফের তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ২০১৯-এর চৌঠা এপ্রিল লোকসভা ভোটের সময়, নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লক এলাকায় বাইক মিছিল করে বিজেপি। যার নেতৃত্বে ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী জন বার্লা। সেই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের তরফে বক্সীরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরবর্তীকালে আদালতের নির্দেশে জন বার্লা-সহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়।
আরও পড়ুন, গাছ কাটলে বেরোয় রক্ত! আজও রহস্যে ঘেরা পৃথিবীর এই দ্বীপটি
সেই ঘটনায় ১৫ নভেম্বর আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও, বিজেপি সাংসদ বা তাঁর কোনও আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে দেয় তুফানগঞ্জ মহকুমা আদালত। সেই মামলাতেই এদিন আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন তিনি।
এদিন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ জন বার্লা বলেন, "আমি তো আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। চিঠি পাইনি। মিডিয়ায় দেখে এসেছি। বাইক র্যালি করার জন্য যদি মামলা হতে পারে, তাহলে এত ছাপ্পা ভোট হচ্ছে, তারজন্য কেন মামলা হবে না? এই করে তৃণমূল বেশিদূর এগোতে পারবে না।"
সম্প্রতি অমিত শাহের ডেপুটি, দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ, নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধেও একটি পুরনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আলিপুরদুয়ার আদালত।