ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: অ্যাডিনো আতঙ্কের মাঝেই ফের শিশুমৃত্যু। বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি শিশুর মৃত্যু। জ্বর-সর্দি নিয়ে ভর্তি করা হয় ১৪ মাসের শিশুটিকে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু, জানালেন চিকিৎসকেরা। ২ মাসে বেসরকারি মতে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জন।
অ্যাডিনো আতঙ্কের মাঝেই ফের শিশুর মৃত্যু
রাজ্যজুড়ে বাড়ছে অ্যাডিনো আতঙ্ক। সেই আবহে ফের এক শিশুর মৃত্যু হল বিসি রায় হাসপাতালে।
অ্যাডিনো আতঙ্ক বাড়িয়ে কলকাতায় সামনে এল আরও ১৩ শিশুর মৃত্যুর খবর। তার মধ্যে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকালের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে ২ মাসে মৃত্যু হল ১২৬ জন শিশুর। ভাইরাসজনিত কারণে যে এরকম হবে, তা জানা ছিল না। বিসি রায় হাসপাতালে গিয়ে স্বীকার করলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। আগের থেকে কমেছে ভিড়, দাবি হাসপাতালের অধ্যক্ষের। মার্চের শেষে কমবে সংক্রমণ, মত বিশেষজ্ঞদের।
ক'দিন আগেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেজাজ হারিয়েছিলেন তিনি। ছবি তুলতে নিষেধ করা থেকে, শিশু মৃত্যু নিয়ে খবর করাতেও আপত্তি জানান স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী। বুধবার তিনিই স্বীকার করলেন, ভাইরাসজনিত কারণে এরকম যে হবে, তা জানা ছিল না। ভয়াবহ অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যে কলকাতায় আরও ১৩ শিশুর মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। তার মধ্যে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকালের মধ্যে কলকাতা মেডিক্যালে ২ এবং বি সি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ১ শিশুর। সব মিলিয়ে বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে গত ২ মাসে মৃত শিশুর সংখ্য়া বে়ড়ে দাঁড়াল ১২৬।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিসি রায় শিশু হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতেই খোলা হয়েছে ফিভার ক্লিনিক। মেডিক্যালের মৃত ২ শিশুর মধ্যে একজন হাওড়ার উলুবেড়িয়া ও অপরজন হুগলির মগরার বাসিন্দা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দু’জনেরই অ্যাডিনো পজিটিভ। অন্যদিকে, বুধবার সকালে বনগাঁর বাসিন্দা ৯ মাসের শিশুর মৃত্যু হয় বি সি রায় হাসপাতালে। ওই শিশু ইনফ্লুয়েঞ্জা A ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল বলে পরিবারের দাবি।
আরও পড়ুন: Murshidabad News: রঙের উৎসবে বিধ্বংসী আগুন, দাউদাউ করে জ্বলল দোকান, জখম ১
রাজ্যে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় এদিন কলকাতা মেডিক্যাল ও বি সি রায় শিশু হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় ও সদস্য অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। এদিন বিসি রায় হাসপাতালে আসেন স্বাস্থ্য অধিকর্তাও। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বেড নিয়ে অভিযোগ জানান এক অভিভাবক। পরে স্বাস্থ্য অধিকর্তা স্বীকার করেন, পরিস্থিতি এরকম হবে, তো বোঝা যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে, হাসপাতালগুলির দাবি, এই মুহূর্তে কোনও বেডে একাধিক শিশু ভর্তি নেই। অভাব নেই আইসিইউ-এর।