রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নগর এলাকায় আতসবাজির দোকানে বিধ্বংসী আগুন (Fire Incident)। স্থানীয় সূত্রে খবর, দোল উপলক্ষে রাস্তায় বাজি পাঠানোর সময়, বাজির আগুন ছিটকে গিয়ে পড়ে আগুন লেগে যায় আতসবাজির দোকানে। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে দোকানে। দোকানের সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে গিয়েছে। ঘটনায় একজন জখম হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এদিন উৎসবের মাঝেই ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয় ধূপগুড়িতে। ধূপগুড়ি শহরের বুকে সুপার মার্কেটে বিধ্বংসী আগুন লাগে। এদিকে গতকাল দোল উৎসবের দুপুর থেকেই শুরু হয়েছে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। মঙ্গলবার দোলের দুপুরে বিধ্বংসী আগুন লাগে ব্যারাকপুরে। জানা যায়, ব্যারাকপুরের মোহনপুর থানার সূর্যপুরে একটি গেঞ্জির কারখানায় আগুন লাগে (Fire in Factory)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন পৌঁছয়। গেঞ্জি মূলত রং করা হয় প্রচুর রাসায়নিক মজুত ছিল। আর সেটাই ভয়াবহ কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তা থেকে বিধ্বংসী আগুন লাগে।
গতকাল দুপুরেই জানা যায় উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুরে আগুন লাগার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এদিকে দোলের দুপুরেই বিধ্বংসী আগুন ছড়ায় ব্যারাকপুরের একটি গেঞ্জি কারখানায়। উল্লেখ্য, বছর দুই আগে এইভাবেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল নিউ ব্যারাকপুরের একটি গেঞ্জি কারখানায়। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর সেবার এসেছিল মর্মান্তিক খবর।
প্রসঙ্গত, আগুন লাগার ঘটনা অব্যহত। চলতি মাসেই গত ৫ তারিখেই একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নাকতলায় বন্ধ ফ্ল্যাটে আগুন লেগে ঝলসে মৃত্যু হয় খাঁচাবন্দি আটটি বিড়াল এবং একটি কুকুরের। মূলত গভীর রাতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কলকাতা ও জেলায় তিন তিনটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নাকতলার পাশাপাশি অগ্নিকান্ড ঘটেছে তিলজলা এবং বনগাঁতেও। এর মধ্যে নাকতলায় বন্ধ ফ্ল্যাটে পুড়ে মৃত্যু হয় খাঁচাবন্দি আটটি বিড়াল এবং একটি কুকুরের। নিছক দুর্ঘটনা, না অন্য কিছু, এই ঘটনাকে ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। কারণ ফ্ল্যাটের মালকিন আবাসনের বাসিন্দাদের দিকে আঙুল তুলেছেন।
আরও পড়ুন, ব্যাঙ্কে না গিয়ে কুন্তলের থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ ! কত টাকা ধার নেন সোমা ?
শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ আগুন লাগে নাকতলায় একটি ফ্ল্যাটবাড়ির একতলায়। চার তলা আবাসনের ওই তলায় কোনও ব্যক্তি থাকতেন না। সেখানে রাখা ছিল খাঁচাবন্দি আটটি বিড়াল এবং একটি কুকুর। আগুনে ঝলসে তাদের মৃত্যু রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই ফ্ল্যাটের মালকিন কমলিকা গুপ্তের দাবি, এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়, আগুন লাগানো হয়েছে। এবিপি আনন্দের মুখোমুুখি হয়ে কমলিকা বলেন,'আমাদের এখানে থাকতে দেওয়া হয় না। এমনকি প্রাণহানিও ঘটতে পারে। আগুন লাগার ঘটনা কাকতালীয় নয়। এর আগেও কুকুর-বিড়ালদের মারার চেষ্টা হয়েছে। এই নিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফ্ল্যাটের মালিক।'