সন্দীপ সরকার, কলকাতা: চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগে সকলে। আর এই ডেঙ্গি উদ্বেগের মধ্যেই কলকাতায় চিকেন পক্স (Chicken Pox) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা আরও চিন্তা বাড়াল সাধারণ মানুষের।
চিকেন পক্স আক্রান্তের মৃত্যু
রাজ্যে এবার চিকেন পক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। বেলেঘাটা আইডি-তে (Beleghata ID) মৃত্যু হয় চিকেন পক্স আক্রান্তর। মৃতের নাম আশিস পাল। বয়স হয়েছিল ৫৯। মৃত আশিস পাল চেতলার দুর্গাপুর লেনের বাসিন্দা। ১৬ নভেম্বর চিকেন পক্স আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি হন তিনি। ১১ দিনের মাথায় চিকেন পক্স আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল তাঁর।
ডেঙ্গি উদ্বেগের মাঝেই কলকাতার বুকে চিকেন পক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ৫৯ বছর বয়সী ব্যক্তির। চলতি মাসের ১৬ তারিখ তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯ তারিখ তাঁর মৃত্যু হয়। ডেথ সার্টিফিকেটে চিকেন পক্স এনসেফেলোপ্যাথির উল্লেখ আছে। উল্লেখ রয়েছে নিউমোনিয়ারও। চিকিৎসকেরা বলছেন, তাঁকে হাসপাতালে যখন আনা হয়, তখন থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। পরবর্তীকালে তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার সাপোর্টও দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই ডেঙ্গি আতঙ্কের মাঝে চিকেন পক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা চিকিৎসকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৪ তারিখ থেকে জ্বর আসে। প্যারাসিটামল খাওয়ানো হয়। তারপর মুখে অ্যালার্জি মতো বের হয়। এক রাতের মধ্যেই চোখ মুখ ফুলে যায়। বেলেঘাটা আইডি-তে নিয়ে গেলে জানানো হয় যে এটা চিকেন পক্স। 'ওঁরা বলেই দেন যে এই রোগী খুব কমই বাঁচে। ইঞ্জেকশন দিয়ে ১২ ঘণ্টা দেখবেন বলেন ডাক্তাররা।' ১২ ঘণ্টা পেরিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: উচ্চশিক্ষায় অবদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ডি’লিট সম্মান সেন্ট জেভিয়ার্সের
চিকিৎসক অমিতাভ নন্দীর কথায়, 'চিকেন পক্স বলতে যে ভ্যারিসেলা ভাইরাসের কথা বলা হয় তাতে সরাসরি মৃত্যু হওয়ার কথা নয়। কিন্তু আমাদের শরীরের কয়েকটা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়ে এই সময়। সেই সময়ে ওই অঙ্গের দেখভাল করা বাঞ্ছনীয়। তাতে একটু গাফিলতি হলেই বিপদ ঘটে। সবচেয়ে বেশি সঙ্কটজনক অবস্থা হয় ফুসফুসে। সেখানে সংক্রমণ মানে নিউমোনিয়া বলি যেটাকে। চিকেন পক্সে আক্রান্ত থাকাকালীন যদি কারও মৃত্যু ঘটে তাহলে সেখানে সাধারণত মূল কারণ হচ্ছে নিউমোনিয়া।'