কলকাতা: ’অনুব্রত মণ্ডলের (anubrata mondal) লটারি কেলেঙ্কারি (lottery scam) নিয়ে বারবার অভিযোগ বদল করা হচ্ছে। আগে বলা হচ্ছিল, লটারির সাহায্যে কালো টাকা (black money) সাদা (white) করা হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে, টিকিট ছিনতাই করা হয়েছে, কোনটা ঠিক?’, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির সমর্থনে মুখ খুললেন রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।


কী বললেন কুণাল?
প্রত্য়েক ১৫ দিন অন্তর একটা করে নতুন গল্প কেন বলা হচ্ছে, প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। তাঁর কথায়, 'তদন্ত তদন্তের মতো চলুক। একটা নির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছে তাঁরা জানাবেন। কিন্তু ১৫ দিন আগে বলা হল লটারি খারাপ, ওটা টাকা দিয়ে পাওয়া যায়। এখন বলছে, অন্য লোক পেয়েছে, কেড়ে নেওয়া হয়েছে।' কুণালের কথায়, তদন্তের নামে মর্যাদাহানির অর্থ হয় না। এর বাইরে যদি কেউ ঠিক করে থাকেন, তা হলে সেই অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ভুল হলে ভুল, জানান কুণাল।


কী অভিযোগ?
গত কালই অনুব্রত মণ্ডলের এক কোটি টাকার লটারির মালিকানার খোঁজে বোলপুরের বড় শিমুলিয়া গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআইয়ের। গরুপাচার মামলায় লটারির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ উঠেছিল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা একের পর এক লটারি জিতেছেন। আর সেই লটারির হাত ধরেই লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। তার পর গত কাল অনুব্রতর এক কোটি টাকার লটারির রহস্যভেদে ফের বোলপুরে হানা দেয় সিবিআই। উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য়। '৮৩ লক্ষ টাকা দিয়ে জেতা লটারি কিনেছিলেন অনুব্রত', বিস্ফোরক দাবি করেন গাঙ্গুলি লটারির মালিক। 'নুর আলি টিকিট কেটে পুরস্কার পেয়েছিলেন', দাবি  ছিলে লটারি ব্যবসায়ীর। বোলপুরের বাসিন্দা নুর আলির বাবা বলেন, '৭ লক্ষ টাকা নগদে দিলেও অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা ট্রান্সফার হয়নি। বরং তাঁর দাবি, রীতিমতো চাপ সৃষ্টি করে গ্রামছাড়া করা হয়েছিল তাঁদের। এমনকী প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার পরও দিতে না চাওয়ায় টিকিট কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ নুর আলির বাবার।


আরও যা...
এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের আরও একটি লটারি পুরস্কারের হদিশ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রতর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) আরও একটি লটারি প্রাপ্তির হদিশ মেলে। জানা যায় সুকন্যা  ৫০ লক্ষ টাকার ওই লটারি পুরস্কার জেতেন ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই এই তথ্য মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়। এই নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর পরিবারের পাঁচটি লটারি জেতার হদিশ পেয়ে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যায় সিবিআই।   


আরও পড়ুন:অনুব্রত মণ্ডলের আরও ১৪ দিনের জেল, জামিনের আবেদনই করলেন না আইনজীবীরা