কলকাতা: অসম থেকে বৃহস্পতিবার বাংলায় ঢুকছে রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা।' তার আগেই কাটল সুর ?এখনও পেরোয়নি ২৪ ঘণ্টা। আসন-রফা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে জটিলতার মধ্যেই, গতকাল জোট-বার্তা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গাঁধী বলেছিলেন, 'আমাদের সিট নেগোশিয়েশন চলছে, মমতাজির সঙ্গে আমার কথা হয়-পার্টির কথা হয়।' এদিকে বুধে পা দিতেই রাহুলের জোট বার্তা কার্যত খারিজ, বাংলায় একলা চলোর ডাক মমতার। এই আবহেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'একলা চলার ঘোষণা'-কে কটাক্ষ করে ট্যুইট বিজেপি আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্যর (Amit Malviya)। বললেন, 'বাংলায় রাহুল গাঁধীর সার্কাস আসার ঠিক আগে, তাঁর এই একলা চলার ঘোষণা ইন্ডিয়া জোটের কফিনে শেষ পেরেক।'
' ইন্ডিয়া জোটের কফিনে শেষ পেরেক..'
অমিত বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গে একলা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত বুঝিয়ে দিচ্ছে যে তিনি মরিয়া হয়ে গেছেন। নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব ধরে রাখতে পারছেন না। তাই সব আসনে লড়াই করতে চাইছেন এই আশায় যে ভোটের পর তাঁর গুরুত্ব থাকবে। তাঁর বিরোধীদের মুখ হওয়ার ইচ্ছা ছিল অথচ এখনও পর্যন্ত কেউ তাঁর নাম প্রস্তাবও করেনি। বারবার দিল্লি গিয়ে জাতীয় স্তরের নেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছাও কাজ করেনি। নির্বাচন পরবর্তী হিংসা এবং রক্তস্রোতের ঘটনা তিনি লুকোতে পারছেন না। অস্বস্তি থেকে বাঁচতে নিজেকে বাইরে রেখে মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম প্রস্তাব করছেন। মমতা বুঝতে পেরেছেন বিরোধী শিবিরে তাঁর কানাকড়িও মূল্য নেই। তবে বাংলায় রাহুল গাঁধীর সার্কাস আসার ঠিক আগে তাঁর এই একলা চলার ঘোষণা ইন্ডিয়া জোটের কফিনে শেষ পেরেক।'
কী বলেছেন মমতা ?
এদিন কংগ্রেস প্রসঙ্গে ফের বিস্ফোরক মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বলেন, 'বাংলার ব্যাপারে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। আমার প্রস্তাব প্রথমদিনই প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলায় যে আসছে, ইন্ডিয়ার জোটসঙ্গী হিসেবে আমাদের জানায়নি। কারও সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ভোটের পর সিদ্ধান্ত নেব। ৩০০ আসনে কংগ্রেস একা লড়াই করুক, সেখানে আঞ্চলিক দলগুলি হস্তক্ষেপ করবে না। বাকি আসনে যদি হস্তক্ষেপ করে, তাহলে আমরা বুঝে নেব', হুঙ্কার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন, 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' নিয়ে বড়সড় বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, বললেন..
অপরদিকে,তাৎপর্যপূর্ণভাবে সোমবার সংহতি মিছিলের পর ভাষণে সিপিএমকে এবং নাম না করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছিলেন,আমি যখন 'INDIA'র মিটিং করি, 'INDIA' নাম আমি দিয়েছি। কিন্তু, আমার দুঃখ হয় এটা বলতে গিয়ে, আমি যখন বৈঠকে যাই দেখতে পাই, সিপিএম মিটিং পরিচালনা করছে। যার সঙ্গে আমার জীবনের ৩৪ বছর লড়াই করেছি, আমি তার কোনও উপদেশ মানব না। 'সম্প্রতি I.N.D.I.A জোটের এই বৈঠক নিয়ে যদিও কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর বক্তব্য, 'এদের না আছে নেতা, না আছে নীতি। বাংলায় চৌধুরী সাহেব এক কথা বলেন, মমতাদি আর এক কথা বলেন। এই অহঙ্কারী জোট চলবে না।'