সন্দীপ সরকার, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও জয়ন্ত পাল, কলকাতা : ১৭ ঘণ্টার বঙ্গ সফর। সকলেই তাকিয়ে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের দিকে। আশা ছিল, আর জি করের নিহত চিকিৎসকের বাবা-মায়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে এবার হয়ত দেখা করবেন শাহ। দেখা করা তো দূরের কথা , তাঁর ২৮ মিনিটের বক্তৃতায় আর জি কর প্রসঙ্গ এল মাত্র একবার।  সাকুল্য়ে কয়েক সেকেন্ডের জন্য ! যে ইস্য়ুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে গেছে, যে ঘটনার প্রতিবাদে অভূতপূর্ব গণ আন্দোলন দেখেছে বাংলা, যে ইস্য়ুতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সামনে কার্যত নতিস্বীকার করতে হয়েছে রাজ্য় প্রশাসনকে, যে ইস্য়ুতে উৎসব ভুলে, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের পাশে দাঁড়িয়েছেন বহু মানুষ, রাজ্য়ে এসে তা নিয়ে কার্যত নীরব রইলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ! কেন ?            


১৮ অক্টোবর, এবিপি আনন্দর 'ঘণ্টা খানেক সঙ্গে সুমন' অনুষ্ঠানে এসে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহর দ্বারস্থ হওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। ২২ শে অক্টোবর, অমিত শাহকে চিঠিও লেখেন নিহত চিকিৎসকের বাবা। কিন্তু আর জি কর-কাণ্ডের পর প্রথম রাজ্যে এসে নিহত চিকিৎসকের মা বাবার সঙ্গেও দেখা করলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই নিয়ে কার্যত হতাশ চিকিৎসক মহল। এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বাম - তৃণমূল। 


এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, কিছুই বলব না। আবার বললেন, ওটা তো কর্মসূচিই ছিল না। আবার আরেক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের দাবি, তিনি এত কাজ নিয়ে এসেছিলেন যে, সময় বের করতে পারেননি। পরে হয়ত এই নিয়ে বসবেন সময় বের করে। 


কিন্তু এসব কিছুর মাঝেই বিজেপির একটি সূত্রে দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে আর জি কর কাণ্ডের তদন্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অমিত শাহর পক্ষে কিছু করা মুশকিল। নিহত চিকিৎসকের মা-বাবার সঙ্গে তিনি দেখা করলে অন্য়রকম ব্য়াখ্য়া হতে পারত। এছাড়াও অমিত শাহের সঙ্গে মা-বাবার সাক্ষাতের পর সিবিআই তৎপর হলে, তৃণমূল বলার সুযোগ পেয়ে যেত, যে বৈঠকের পরই রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে এই সক্রিয়তা।  


আরও পড়ুন :               


 'তোমাকে কেটে তোমার জমিতে ফেলে দেব, বারবার বলছি, কুছভি করেঙ্গে, কুছভি' হুমায়ুনকে মিঠুনের হুঁশিয়ারি